বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃঃ আপনার আপিসের ঠিকানাটা দিয়ে যান, উনি গিয়ে দেখা করবেন। আপনার সঙ্গে। কখন যাবেন ? রাজীব একেবারে ছাপানো ঠিকানা তাকে দেয়-কার্ড নয়, একটা ছাপা বিলের মাথাটা ছিড়ে দেয়। সাধনা জানত, রাজীব লেখাপড়া বেশী করে নি, তার কথার ধরণ ও চালচলনে সে অল্প শিক্ষিত ছোট ব্যবসায়ীর সেকেলে ভোতা ভাবটাই পুরোমাত্রায় প্রত্যাশা করছিল। আজ সামনাসামনি মানুষটার সঙ্গে কথা বলে সে আশ্চৰ্য্য হয়ে যায়। মাজিত রুচি শিক্ষিত মানুযের সঙ্গে কোনই তো তফাৎ নেই তার | এই রাজীবের ব্যবসা বিড়ির পাতা আর বিড়ির তামাকের ! সুখ আর পাতা বেচে, তাও বন্ধুর সঙ্গে ভাগে, বাসন্তীকে গায়ে সে এত গয়ণা দিয়েছে! লুকিয়ে বাসন্তী এত টাকা জমিয়েছে যে তার ভাঙ্গা হারটা কিনে টাকার একটা অংশকে সোনা করে জমানো সে সুবিধাজনক মনে করে । রাজীব জানায় বারটা সাড়ে বারোটার মধ্যে রাখাল যেন - যায়। রাখালকে সঙ্গে নিয়ে চেনা একটি লোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে, সে আবার রাখালকে নিয়ে যাবে যে আপিসে চাকরী খালি আছে-হাঙ্গামা অনেক ! হাঙ্গামা বৈকি। ঘরে গিয়ে সাধনা তাই ভাবে । এমন লোকও আছে জগতে আপনজনকে চাকরী জুটিয়ে দেওয়া যাদের কাছে ডাল ভাত-মায়ের পিসতুতো ভাই সম্পর্কে এমনি একজন মামা থাকায় ওই বাগানওলা বাড়ীর খাবাগোবা ছেলে কুমুদ চাইতে না চাইতে তিনশ’ টাকার, 8