মতই তাড়াতাড়ি চায়ের দোকান ছেড়ে বেরিয়ে আসে । এক কাপ চায়ের দাম দিয়ে এতক্ষণ দোকানে আশ্ৰয় নিয়েছে, ঘুমিয়ে পড়ার মত নিরাপদ আশ্রয় ! পথে অসংখ্য মানুষ । দোকানে লোক কম, কাপড়ের দোকানেও-যত ভিড় গিয়ে যেন জমেছে রেশনের কাপড়ের দোকানে । সাধনাকে এমাসে একখানা কাপড় দিতেই হবে । আগেকার ক’খানা ভাল কাপড় ছিল বলে এ পৰ্য্যন্ত কোন মতে চলেছে, আর চালানো অসম্ভব। সেলাই করে চালিয়ে দেবারও একটা সীমা আছে, যার পরে আর চলে না, নিজে থেকে কাপড় ফেঁসে যায় । তার নিজের ? তাকে তো বেরোতে হবে টুইসনি করতে, চাকরী খুজতে। তার নিজেরও একেবারে অচল অবস্থা । কি দিয়ে কি ভাবে কি করৰে ভেবেও কুল পাওয়া যায় না। কিন্তু সাধনা এদিকে যাবেই তার ভাগ্নীর বিয়েতে, নতুন হার গলায় পরে যাবে। নিজের কানপাশা রেবাকে উপহার দিয়ে সম্মান বজায় রাখবে । তীব্ৰ জ্বালাভের হাসি ফোটে রাখালের মুখে । প্ৰভাকে পড়াতে যেতে আরও প্ৰায় দু’ঘণ্টা দেরী । রাস্তায় রাস্তায় কাটাতে হবে। এ সময়টা । আরও একটা টুইসনিও যদি জোটাতে পারত। পথেই সময় কাটায়। হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যায় ছোট পার্কিটার বেঞ্চে বসবার যায়গার খোজে-বেঞ্চ খালি নেই। মানুষ বেড়াতে বেরিয়ে বেঞ্চ কটা দখল করে নি। যার 分》
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১
অবয়ব