খেলাঘরগুলি উঠেছে, তারই একটাতে তারা থাকে । বিয়ের যুগ্য মেয়ে আছে একটি। ওই হতভাগীই এখন নাকি সবার বড় দুর্ভাবনা-ভোলার বাপমার । ভোলার মা কঁদুনি গায় না। দুৰ্দশার সে স্তর তারা পার হয়ে গেছে। বােধ হয় সেই জন্যই নানা কথা জিজ্ঞাসা করার পরেও দাম দেবার সময় অংশ যখন অনায়াসে বলে, তোমার ডিমের দাম বেশী ভোলার মা ! তখন ভোলার মা রাগও করে না, নিজের দুরদৃষ্টকে শাপও দেয় না, সোজাসুজি স্পষ্ট ভাষায় বলে, কি কথা কন ? এক পয়সা বেশী না ! বাজার দরে বেচি। উনি পাইকারী দরে কিনা আনেন, খুচরা দরে বেচনের লাভচুক থাকে । সাধনাকে সে জিজ্ঞাসা করে, আপনে নিবেন না ? नाथन भाथ नigछ । তার গলার দিকে চেয়েই যেন ভোলার মাও মাথা হেলিয়ে তার ডিম কেনার অক্ষমতায় সায় দেয়, না কেনাকে সমর্থন করে । গলার কাছটা শির শির করে সাধনার । বিছাহারের শূন্যতা যেন বিছার মত হাঁটছে। রাখাল পাড়ার একটি স্কুলের ছাত্রকে সকালে সাড়ে সাতটা পৰ্য্যন্ত পড়ায়। পড়িয়ে সটান চলে যায় মাইলখানেক দূরে আরেকটি কলেজের ছাত্রকে পড়াতে । বাড়ী ফিরে নেয়ে খেয়ে বার হয়। সারাদিন ঘোরে। ܘ
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯
অবয়ব