বিদ্যালয়ে যে সকল বাক্য শ্রবণ করে, বাটীতে পিতামাতার নিকট তাহার বিপরীত দেখে। সুতরাং তাহারা যাহা শ্রবণ করে কার্য্যে তাহা দেখিতে পায় না। এই জন্য কোন শিক্ষাই হয় না—হইতেছেও না। কালমাহাত্ম্যে পূর্ব্বপ্রথা রহিত হইয়া এখন সব কুশিক্ষায় পরিণত হইতেছে। প্রকৃত শিক্ষার অভাবে জ্ঞান লাভ হইতেছে না এবং শিক্ষা অসম্পূর্ণ অবস্থায় থাকিয় যাইতেছে। শিক্ষার অসম্পূর্ণ অবস্থায় ব্যভিচারের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। আজ কাল তাহারও অভাব নাই, চতুর্দিকেই অশান্তি বিরাজ করিতেছে। ইহা কেবল শিক্ষার দোষে। স্বদেশের রীতিনীতি আচার ব্যবহার পরিত্যাগেই এই বিষময় ফল ফলিতেছে। দুঃখের বিষয় এই যে, আমরা যাঁহাদের অনুকরণ করিয়া থাকি, তাঁহারা ত স্বদেশের রীতি নীতি পরিত্যাগ করেন না। ইহাতেই জানা যায় যে স্বদেশের প্রতি আমাদের কত অনুরাগ আছে! বস্তুতঃ আমরা যতদিন পূর্ব্ব পূর্ব্ব ঋষিদিগের কার্য্যের অনুসরণ না করিব ততদিন আমাদের কোন শিক্ষাতেই মঙ্গল হইবে না। স্ত্রীশিক্ষার অনুরোধে বালকগণের শিক্ষার কথা উপস্থিত করা গেল। পূর্ব্বে বলা হইয়াছে, বালিকাগণ বিবাহের পূর্ব্বে পিতামাতার কার্য্য দেখিয়া শিক্ষালাভ করিবে। বালিকা নিজ মাতার নিকট গার্হস্থ্য ধর্ম্মের প্রয়োজনীয় যাবদীয় কর্ম্ম শিক্ষা করিবে। শরীর পালন, শিশুপালন, পতিভক্তি, পিতৃভক্তি, ভাই ভগিনীর প্রতি স্নেহ, এবং দয়া, সরলতা, স্থিরতা, মিষ্টভাষিতা, সহিষ্ণুতা, দৃঢ়তা, অকপটতা, সন্তুষ্টতা, পরদুঃখে কাতরতা, মিতব্যয়িতা, অতিথিসেবা, দেবসেবা এই সকল কার্য্য বালিকার মাতার নিকট প্রত্যক্ষ
পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/২২
অবয়ব
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(১৮)