পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ বা ব্যক্তিবিশেষকে আক্রমণ করবার আমার লেশমাত্র অভিরুচি নেই, i আমি কেবল এর mentalityটাই আপনাদের গোচর করবার প্রয়াস করচি। এই যে বিদেশের প্রতি অকৃত্রিম অনুরাগ ও স্বদেশের প্রতি নিদারুণ বিরাগ, এ শুধু সম্ভবপর হয়েছিল তাদের অন্দরের পথটা চিরদিন বন্ধ ছিল বলে । তাই এদের সংসর্গে যারা এসেছিলেন র্তাদের চোখে ওদের বাইরের মোহটা এমনি পেয়ে বসেছিল যে, এ তত্ত্ব আবিষ্কার করতে র্তাদের মুহূৰ্ত্ত বিলম্ব ঘটেনি যে, বাইরে থেকে যেটুকু দেখা যাচ্ছে, কেবল সেইটুকুর হুবহু নকল করলেই, তারাও অম্নি মানুষ হ’য়ে ওদের অস্তরের পংক্তিভোজনে সরাসর বসে যেতে পারবেন। সংসারে যা কিছু অজ্ঞাত, গোপন, যার ভিতরে প্রবেশের পথ নেই, তার প্রতি বাইরের লোকের লোভের অবধি থাকে না । তাই একথা র্তাদের স্বতঃসিদ্ধের মত মেনে নিতে কোথাও কিছুমাত্র বাধেনি যে, মানুষ হবার সত্যকার সজীব মন্ত্রটা কেবল ওদের এই নিগৃঢ় মৰ্ম্মস্থানটীতেই চাপা দেওয়া আছে, কোন মতে ওর সন্ধান না পেলে আমাদের মনুষ্যজন্ম সার্থক করবার দ্বিতীয় পন্থা নেই । এই ভ্রান্তিট চোখ মেলে দেখবার আজ দিন এসেছে । শিক্ষার বিরোধ আসলে এইখানে। সে শুধু দেহের গঠনে নয়, সে অস্তরের আত্মায়। এই যে শিক্ষার প্রণালী নিয়ে বিবাদ বিসম্বাদ চলেছে,—ওদের শিক্ষা অত্যন্ত মহার্ঘ্য, অত বড় বড় বাড়ী কি হবে ? কি হবে টানা পাখায় ? কাজ কি আমার টেবিল চেয়ারে—দূর করে দাও মোটা মাইনের বিলিতী প্রফেসার—তার খরচ যোগাতেই যে দেশের বাপ-মা পাগল হ’য়ে গেল,—এমনি আরও কত শত । এর \రిNు