পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতিকথা একেবারে ভয়ানক মারাত্মক । এই অ্যাক্টিভিটিতে সমস্ত দেশ অন্ততঃ পচিশ বছর পেছিয়ে যাবে। তা’ ছাড়া এর মস্ত দোয এই যে, স্বরাজ পাবার পরেও এ জিনিষ যাবে না, তখন আরও স্পৰ্দ্ধিত হয়ে উঠবে, সামান্ত মতভেদে একেবারে সিভিল ওয়ার’ বেধে যাবে। খুনোখুনি রক্তারক্তি আমি অস্তরের সঙ্গে ঘৃণা করি, শরংবাবু। কিন্তু এই কথাগুলি তিনি যখনই যতবার বলিয়াছেন, ইংরাজী খবরের কাগজওয়ালার বিশ্বাস করে নাই, উপহাস করিয়াছে, বিন্দ্রপ করিয়াছে । কিন্তু আমি নিশ্চয় জানি, রাত্রিশেষের আলো-অন্ধকার আকাশের নীচে, নদীবক্ষে দাড়াইয় তাহার মুখ দিয়া সত্য ছাড়া আর কোন বাক্যই বাহির হয় নাই । বহুদিন পরে আর একদিন রাত্রিতে র্তাহার মুখ হইতে এমনই অকপট সত্য উক্তি বাহির হইতে আমি শুনিয়াছি। তখন রাত্রি বোধ হয় আটটা বাজিয়া গিয়াছে, আচাৰ্য্য রায় মহাশয়কে বাড়ীতে পৌছাইয়া ফিরিয়া আসিয়া দেখিলাম, দেশবন্ধু সিড়ির উপরে চুপ করিয়া দাড়াইয়া আছেন। বলিলাম, একটা কথা বোল্ব, রাগ করবুেন না ? তিনি বলিলেন, না । আমি বলিলাম, বাঙ্গলাদেশে আপনারা এই যে কয়জন সত্যকার বড়লোক আছেন, তা পরম্পরের সন্দর্শনমাত্রই আপনার পুলকে যে রকম রোমাঞ্চিত-কলেবর হয়ে ওঠেন— দেশবন্ধু হাসিয়া বলিলেন, বেরালের মত ? বলিলাম, পাপমুখে ও আর আমি ব্যক্ত কোরব কি ক’রে। কিন্তু কিছু একটা না হ’লে— (이