পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য ও নীতি দেওয়াই অভিসন্ধি। কিন্তু কাব্য—যা সত্যকার কাব্য, সে যে চির-স্বন্দর, চির-কল্যাণকর, কবির অন্তরের এই কথাটা তারা উপলব্ধি করতেই চান না। এবং, ওই সব ফন্দি ফিকিরের মধ্যেই যে কবি এবং কাব্য আপনাদের আপনি নিষ্ফল করে তোলে এই সত্যটাই র্তারা বিশ্বত হন। এই কথাটাই আমি গোট দুই দৃষ্টান্ত দিয়ে পরিস্ফুট করতে চাই। আমার নিজের পেশা উপন্যাস সাহিত্য, স্বতরাং এই সাহিত্যের দু’একটা কথা বলা বোধ করি নিতান্তই অনধিকার চর্চা বলে গণ্য হবে না। যারা আমার নমস্ত আমার গুরুপদবাচ্য র্তাদের লেখা থেকে এক আধটা উদাহরণ দিলে যদি বা একটু বিরুদ্ধ মত থাকে, আশা করি আপনাদের কেহই তাকে অসম্মান বা অশ্রদ্ধা বলে ভুল করবেন না। আমার সাহিত্যিক জীবনের পরিণতির প্রসঙ্গে এর প্রয়োজনও আছে। (গোটা দুই শব্দ আজকাল প্রায় শোনা যায়, Idealistic and Realistic. off aff এই শেষ সম্প্রদায়ের লেখক । এই দুনামই আমার সবচেয়ে বেশী। অথচ, কি করে যে এই দু’টোকে ভাগ করে লেখা যায়, আমার অজ্ঞাত। (Art জিনিষটা - মানুষের স্বষ্টি, সে nature নয়। সংসারে যা কিছু ঘটে,–এবং অনেক নোঙর জিনিষই ঘটে,—ত কিছুতেই সাহিত্যের উপাদান নয়। প্রকৃতির বা স্বভাবের হুবহু নকল করা photography হ’তে পারে, কিন্তু সে কি ছবি হবে ?) দৈনিক খবরের কাগজে অনেক কিছু রোমহর্ষণ ভয়ানক ঘটনা ছাপ থাকে, সে কি সাহিত্য ? চরিত্র-হষ্টি কি এতই সহজ ? আমাকে অনেকেই দয়া করে’ বলেন, মশাই আমি এমন ঘটনা জানি যে, সে যদি আপনাকে বলি, ত আপনার চমৎকার একটা বই হ’তে পারে। 이 이