পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যে আর্ট ও নীতি নিগূঢ় বেদনার বিবরণ সে প্রকাশ করবে না ভ করবে কে ? মানুষকে মানুষ চিনবে কোথা দিয়ে ? সে বাচবে কি করে ? ' আজ তাকে বিদ্রোহী মনে হ’তে পারে, প্রতিষ্ঠিত বিধি-ব্যবস্থার. পাশে হয়ত তার রচনা আজ অদ্ভুত দেখাবে, কিন্তু সাহিত্য ত খবরের কাগজ নয়। বর্তমানের প্রাচীর তুলে দিয়ে ত তার চতুঃসীমানা সীমাবদ্ধ করা যায় না । গতি তার ভবিষ্যতের মাঝে । আজ যাকে চোখে দেখা যায় না, আজও যে এসে পৌঁছেনি, তারই কাছে তার পুরস্কার, তারই কাছে তার সম্বৰ্দ্ধনার আসন পাতা আছে । কিন্তু তাই বলে আমরা সমাজ সংস্কারক নই। এ ভার সাহিত্যিকের উপরে নাই। কথাটা পরিস্ফুট করবার জন্য যদি নিজের উল্লেখ করি, অবিনয় মনে করে আপনার অপরাধ নেবেন না । ‘পল্লীসমাজ বলে’ আমার একথানা ছোট বই আছে। তার বিধবা রমা বাল্যবন্ধু রমেশকে ভালবেসেছিল বলে’ আমাকে অনেক তিরস্কার সহ করতে হয়েছে। একজন বিশিষ্ট সমালোচক এমন অভিযোগও করেছিলেন যে, এত বড় দুনীতির প্রশ্রয় দিলে গ্রামে বিধবা আর কেউ থাকবে না। মরণবাচনের কথা বলা যায় না, প্রত্যেক স্বামীর পক্ষেই ইহা গভীর দুশ্চিন্তার বিষয়। কিন্তু আর একটা দিকৃও ত আছে । ইহার প্রশ্রয় দিলে ভাল হয় কি মন্দ হয়, হিন্দু-সমাজ স্বর্গে যায় কি রসাতলে যায়, এ মীমাংসার দায়িত্ব আমার উপরে নাই। রমার মত নারী ও রমেশের মত পুরুষ কোন কালে, কোন সমাজেই দলে দলে, ঝাকে ঝাকে জন্মগ্রহণ করে ন। উভয়ের সম্মিলিত পবিত্র জীবনের মহিম কল্পনা কর কঠিন নয়। কিন্তু হিন্দুসমাজে এ সমাধানের স্থান ছিল না। তার পরিণাম হ’ল এই যে, এত বড় দু'টি মহাপ্রাণ নর-নারী এ জীবনে b"ని