পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচিত্র আমি এ মেয়ের নাম রাখলুম রাণী জ্যোতিৰ্ম্মী। তোমার নাতি হয় নি ব'লে যে ক্ষোভ হয়েছে— নাতনীকে রাণী ব’লে ডেকে সে ক্ষোভ মিটিও। যদি তাতেও দুঃখ না ঘোচে —তবে না হয় রাজা ব’লেই একে ডেকো ” এই বলিয়া রাজা হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেলেন । 兴 米。 홍문 米 o জ্যোতিৰ্ম্মী কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করিল বলিয়া ঠাকুরম যে পরিমাণে দুঃখিত হইয়াছিলেন—তাহার অধিক পরিমাণ স্নেহাদর পরে সে তাহার নিকট श्हेtउ श्रांलांब कब्रिब्र गहेण ! cकरुण ठांडूब्रभांब्र নছে, বাড়ীর সকলেরই সে অাদরের সামগ্ৰী হইয়া দাড়াইল । রাজার জ্যেষ্ঠ কন্যা হিরন্ময়ী এখন পাচ বৎসরের এবং মধ্যম কিরণময়ী তিনের কোটা পার হইয়াছে, স্বতরাং জ্যোতিৰ্ম্মীর আবির্ভাবে অন্তঃপুরিকাগণের স্নেহধারা অপৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে তাহার প্রতি বৰ্ষিত হইতে লাগিল। বোন দুইটিরও ত সে খেলার পুতুল, তাহাকে পাইলে তাহারা আহার-নিদ্রা ভুলিয়া যায়। রাজবাড়ীর আত্মীয়া পরিচারিকাগণের অবস্থাও তথৈবচ, শত কাজের মধ্যেও অবসর করিয়া লইয়া তাহারা শিশুদর্শনে ছোটে। আর মহারাণীর ত কথাই নাই—জ্যোতিৰ্ম্মী তাহার বক্ষের ধন ৷ তাহাকে দখল পান না কেবল তার প্রস্মৃতি, স্তন্যপান করাইবার সময়ে মাত্র কন্যাকে তিনি কোলে পান । রাজান্তঃপুরে ভৃত্য-প্রবেশের নিয়ম নাই । কেবল দুই জন মাত্র এ সম্বন্ধে বর্জিত-বিধির মধ্যে গণ্য । রাজার শৈশবভূত্য হবিরাম—আর রাজার পিতার আমলের দেীবারিক কালীন পীড়ে । ইহার এৎলা দিয়া মহারাণীর নিকট যাইতে পারে। পেন্সনভোগী পাড়ে এখন এত বৃদ্ধ হইয়াছে যে, চোখেও ভাল দেখিতে পায় না— কানেও কম শোনে—কিন্তু তাহার বিশ্বাস সে দেউড়িতে না থাকিলে রাজবাড়ীর আদব-কায়দা রক্ষা হওয়া অসম্ভব, তাই পেন্সন লইয়াও সে এ বাড়ী ছাড়িতে পারে না। ফলে চোখের গুণে সে রাজার বন্ধুবান্ধবদিগকেও গেট হইতে নিৰ্ব্বাসন আজ্ঞাদান এবং কানের দোষে পাত্রাপাত্ৰ নির্বিবশেষে গালি-গালাজ দিতেও কুণ্ঠ বোধ করে না। মাঝে-মাঝে নূতন লোকের নিকট রাজাকে এজন্ত অপ্রস্তুত হইতে হয়। একবার ম্যাজেষ্ট্রেট সাহেবকে নাকি বড়ই নাকাল हहेरठ श्हेछ, युनि नl-cनहे नभइ ब्रांछ पञांगिब्र SSన তাহণকে রক্ষা করিতেন। তবে রাজার বন্ধুরা পাড়েকে সকলেই চেনে, তাই তাহার ব্যবহার ক্ষোভের পরিবর্তে তাহাদের কৌতুকই উদ্রেক করে । রাজার অল্পবয়স্ক আত্মীয় বালকদিগের নিকট হইতে পাড়ের এজন্ত উপদ্রবও কম সহ করিতে হয় না, বাৰ্দ্ধক্যের দুর্বলতা-অপরাধ চিরদিনই বালকদিগের হাসি-তামাসার বিষয় । বৃদ্ধ পাড়ে এবং হরিয়ামের শিশুদর্শন আবেদন যথাসময়ে পেশ হইল। ষষ্ঠীপুজার পর অন্তঃপুরের দালানে এক জন পরিচারিকা শিশুকে কোলে লইয়া দাড়াইল—পাড়ে নিদ্রিত বালিকার মুখের উপর ঝুঁকিয়া পড়িয়া অন্ধনয়নকে যথাসম্ভব ফুটাইম তুলিয়া মস্তক আগ্রাণে তাহাকে অভিনন্দন করিল। হরিরামের চিত্ত এত সহজে তৃপ্তিলাভ করিল না। পরিচারিকার নিকট হইতে তাহাকে নিজহস্তে তুলিয়া সুনিপুণ ধাত্রীর মত আস্তে আস্তে দোল দিতে দিতে হর্ষবিম্ফারিত নয়নে তাহীকে দেখিয়া সে মন্তব্য প্রকাশ করিল, “রাজকুমারী কি হুবহু রাজার মতই cनविरङ श्हेब्राप्झ्न !" এ কথা মহারাণী কিন্তু এ পর্য্যস্ত একবারও মুখে আনেন নাই। ইহার পর হইতে হরিরামের সংসারের শত মায়ার সহিত আর এক মায়ার যোগ হইল। সে প্রতিদিনই একবার করিয়া শিশুকে দেখিতে আসিত। যে দিন কোন কারণে তাঁহাতে ব্যাঘাত ঘটিত, সেই দিন শুীমমুন্দরের আরতির সময়েও মনঃস্থির রাখা তাহার পক্ষে অসম্ভব হইয়। खेठेिउ । ८कदणि ठांशंद्र भटन श्ठ-- रुद्र उ वां রাজকুমারীর কোন অসুখ হইয়াছে। শিশু যখন আট দশ মাসের—তখন হইতে হরিরামের এক নূতন কাজ ফুটিল। বালিকার নরম নরম রেশমী চুলগুলি সে তাহার মাথার উপর চূড়াকারে বাধিয়া কটি আলম্বিত পীতধড়ার উপর সোনার পাট কষিয়া তাহাকে সে শিশুকৃষ্ণবেশে সাজাইত। সজ্জাশেষে বালিকাকে বুকের উপর দাড় করাইয়া সেই মোহনরূপ মুগ্ধভাবে দেখিতে দেখিতে গান ধরিত— নাচে আমার গোপালমণি দেখবি বদি আয়,— তার-পীতধড়া মোহনচূড়, নূপুর বাজে পায়। হরিরামের গানের সঙ্গে সঙ্গে বালিক হাসিয়া হাসিয়া নাচিত । ঠাকুরমা এই নাচ দেখিয়া এতই মুগ্ধ হইয়া গেলেন যে, হরিরামের অবিলম্বে পাঁচ টাকা कब्रिब्रां cवउन बुकि इहेश-अक्षिकख् ७७ नांगै छांग ভাল কাপড় সে উপহার পাইতে লাগিল যে, তাহার