পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বপ্নবাণী ( বিচিত্রার পরিসমাপ্তি ) প্রথম পরিচ্ছেদ রজনীর স্বপ্ন প্রভাতে মিলাইয়া যায়, মানসিক কল্পনা দিবসের কৰ্ম্মসংঘাতে মনের কোণে চাপ। পড়িয়া থাকে ; কিন্তু স্বভাবজাত অাদর্শ আকাঙ্ক্ষা বারংবার প্রতিহশ হইয়া ও লক্ষ্যের দিকে মুখ ফিরাইয়া ፵፱፻፶ ! এ কয়েক দিন স্বপ্নের কথা জ্যোতিৰ্ম্ময়ী একরকম ভুলিয়। গিয়াছেন ; কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষাভাব-প্রস্থত তাহার ঐ স্বপ্ন, সেই ভাবটি যথেষ্ট কৰ্ম্মনিবিড়ত সত্বেও তাহার অন্তর নিতৃতে অন্তঃশিলারূপে প্রবা স্থিত । “এই বৈষম্যময় জগতে,--মানবের এই স্বার্থপূর্ণ জীবন-সংগ্রামে সাম্যময় প্রেমনীতি কি সম্ভব ?” এই প্রশ্নটি যখন তখন তাহার মনে উঠাপড়া করিতে থাকে। যুক্তি উত্তরে কঙ্গে -“সম্ভব নছে, সম্ভব নহে!” কিন্তু তাহার অন্তরাত্মার মধ্য হইতে তৎক্ষণাৎ বিশ্বাসবাণীর প্রতিবাদ প্রতিধ্বনিত ছষ্টয়া উঠি—“সম্ভব, সম্ভব, এ যুগে না হউক, কোন ভবিষ্ণু-যুগেও সম্ভব, তাহার জন্ত প্রস্তুত ইও । ঝড় ত চিরস্থায়ী নহে, ঝটিকাঝঞ্চা শাস্তিরই বাহক, বৈষম্য সাম্যেরই স্বচন । গতি তরঙ্গসস্কুল, পথ কষ্টকর, কিন্তু লক্ষ্যস্থান স্থণার প্রেম-নিকেতন !” “তবে হে পথপ্রদর্শক গ্ৰুৰজ্যোতি, অন্ধকার গগন ভেদ কয়িয় দর্শন দাও তুমি, দর্শন দাও ।” তখন প্রত্যুবকাল, জ্যোতিৰ্ম্মী পাঠগৃহে, বাতমনপাশে টেবিল-পাস্তে চৌকিতে বসিয়া পিতার একটি কবিতা নিজের খাতায় তুলিতেছিলেন। সন্মুখভাগে দ্বিন্ধ-করেজ্জিল তটিনী প্রবাহিত, डग्नप्रवहेनौब्र भशा इहेरड दिख्रश्र ब्र ग्रैडिक्षकांब्र प्लेषदिब्रां উঠিতেছে, মৃদু সমীরছিক্সোলে বাতাঙ্গন-নিক্সের প্রস্ফুটন্ত মাধবীলতা-কুঞ্জোখিত ফুলগন্ধ মাঝে মাঝে তাহার নাসিকাবিৰরে বাপাইয়া পডিতেছিল, बोनिक अनछषटम भांबछेि लिथिरछझिरनम । সহসা বাতায়ন-পাশ্বের নারিকেল-তরুণীর্ষ হইতে একটি ছোট পাখী পরিচিত কণ্ঠে শিশ দিয়া যেন ডাকিল—“জ্যোভিৰ্ম্ময়ী জাগো ।” বালিকা চমকিয়া ন শুমুপ উন্নত করিবণমাত্র পাখীটি উড়িয়া দুরবর্তী আমবাগানের ঝোপের মধ্যে লুকাইয় পড়িল । রাজকুমারী তখন আমগাছের দিকে নেত্রপাত করিয়া দেখিলেন, কি সুন্দর বর্ণরঞ্জন সুবর্ণ লোহিতের মৃদুঘনবৈচিত্র্যে পুৰ্ব্ব-দক্ষিণ গগন কোথাও স্তরে স্তরে, কোথাও রেখাকারে, কোথাও অপুৰ্ব্ব ছাপে স্বরঞ্জিত । এই উজ্জল লোহিতাভ অম্বরতলে একখানা প্রকাও কৃষ্ণমেঘ ভাসিয়া চলিযtছিল । সূৰ্য্যদেব দিষ্মণ্ডল হইতে উদ্ধে উঠিতে উঠিতে বার বার তাহার মধ্যে আ গোপন করিতেছিলেন, বালিকার দৃষ্টি যখন মাকাশের দিকে পড়িল, তখন সবিতৃদেব মেঘাচ্ছন্ন । জ্যোতিৰ্ম্মী যেন কোন বন্ধুর আশায় নিরাশ হইয়া একটা ক্লাস্ত নিশ্বাস সহকারে আবার লেখনী মণীপূর্ণ করিয়া লইয়া লিখিতে আরম্ভ করিলেন । লেখা শেষ করিয়া গানটি একবার পড়িয়া দেখিলেন,-- মনটি ওরে, ভাল ক’রে ভাসতে শেখে ভাসতে শেথো ; সাৎরে উঠতে হবে কুলে এই কথাটি মনে রেখে । জলের পণ লম্বী বাক, হেথায় নাইক নৌকা নাইক সাঁকে ! চলতে গিয়ে গায়ের জোরে, এলিয়ে পড়বে জলের ঘোরে হারিয়ে ফেলবে সকল শক্তি , ঠিক দেখে ভাই ঠিক দেখো । উঠতে ৰদি চাও রে কুলে, ভাসত্তে শেখে। ভাসতে শেখে। ঐ দেখা যায় নদীতীরে বরখানি ; দেখতে কাছে, ৰয় স্বে মাঝে জোর পানি ।