পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০২ "আহ ! ও কি কথা কুন্দ ! শোন, আগেই বোধ হয় শুনেছ,—রাজকুমারী শরৎ ডাক্তারকে মাল্যদান করেছিলেন—* “এই কথা । কিছু ত আশ্চৰ্য্য"হলুম না। যে জেতে, তাকে মাল্যদান করাই ত আমাদের দেশের সনাতন পদ্ধতি ।”

  • হঁ্যা, স্বয়ম্বর হওয়াও আমাদের দেশের সনাতন পদ্ধতি,—এ স্থলে ফকা মাল্যদানটাই কেমন ফীকা ফাক ঠেকছে।”

“সোজা লাঠি গাছটাকে ও এমন সহজে আপনার বাকিয়ে-ধতুক ক’রে তোলেন,--আশ্চর্য্য !" “অারে সংসারটাই এই রকম--লোকের মুখ তুমি ত চেপে রাখতে পার না ।” “বেশ,-লোকে যা বলে বলুক,-আপনি আর এ নিয়ে মাথা ব্যথা করেন কেন ?" "রামঃ ? মোটেই না । আমি কেবল তোমাকে বলছি।--দেখ কুন্দ, তোমাকে কোন কথা না ব’লে আমি থাকতে পারিনে,—তুমি ত কই আমাকে কিছু বল না ?” “কিছু ত বলার নেই আমার ।” “তা ত সত্যি ! বিশেষ এবার যে রকম গম্ভীর দেখছি, তাতে মনে হয়—যেন মৌনত্রত গ্রহণ করেছ।” কুন হাসিয়া বলিল, “জীবনটা কি হেসে-খেলে কাটাবার জিনিষ পণ্ডিত-মহাশয় ?” "জীবনটা কাজ করবার জিনিষ,—কিন্তু হেসেগেলেই কাজ ভাল হয় । “ভিন্ন মতও ত থাকতে পারে ?” “অবশুই । পৃথিবী যে বিপুল,—তাতে সন্দেহ নেই।” পণ্ডিত-মহাশয়ের হস্তে র্তাহার বিপুলক্ষ্মশ্ৰ প্রবল ভাবে আন্দোলিত হইতে লাগিল । কুন্দ তাহ দেখিতে দেখিতে হাসিমুখে বলিল, “রাজকুমারী ত এখনও এলেন না,—একবার খোজ নিয়ে আসি।” “দরকার কি কুন্দ ! তাতে তুমি শুদ্ধ অন্তৰ্দ্ধান হয়ে পড়বার আশঙ্কা আছে - • কুন্দ সে অনুরোধ অগ্রাহ করিয়া চলিয়া গেল,— কিন্তু অল্পক্ষণের মধ্যেই ফিরিয়া আসিয়া পণ্ডিতমহাশয়ের অন্ধকার মুখ হাস্তোজ্জল করিয়া কহিল, “রাজকুমারী ঘরে নেই! বোধ হয় রাজাবাহাদুরের কাছে গেছেন ।* “পাশের ঘরও বেশী দূরে নয় কুল ।" স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী “দেখুন পণ্ডিত-মশায়, এ রকম ঠাট্টাঠটি করলে আমি কিন্তু চ’লে যাব।” “আরে ঠাট্ট কে করছে ? আমি জন্মে কখনও কোন বিদুষকের পাঠ অভিনয় করি নি। কখনও তা পারব ব’লে কল্পনাও ছিল না । তবে আজি তোমার প্রশংসাবাদে প্রাণের মধ্যে হঠাৎ একটা আশাতীত অাশার উদ্রেক হয়ে উঠছে বটে ! কে জানে, হয় ত কোন দিন গোপাল ভাড়ের আসনও অধিকার ক’রে বসতে পারি। কিন্তু আপাততঃ যা বলছি, এটা পরিহাস নয়। রাজকুমারীর মনের গতিক বড় ভাল মনে হচ্ছে না । পড়া-শুনা ত বন্ধ হয়েছে, সমিতিটা কবে বন্ধ হয়, এখন এই ভয় । ছেলেদের উপর হুকুম জারি হয়েছে যে, তারা যেন বিলিতি জিনিষ ধ্বংস না করে – কেন না ডাক্তার এটা ভাল বলেন না ।” “রাজকুমারীকে আমি এই কথা বলব।” “রক্ষা কর—ক্ষেপলে কুন্দ ?” *না ক্ষেপি নি,—আমি তাকে বলব –তিনি যে পথে চলেছেন—সেটা প্রকৃত দেশোল্পতির পথ নয় । এ কাজে গুরুর উপদেশ চাই ।” “আঃ তাই বল। তা কুটুমির মত গুরু পেলে মন্দ হয় না বটে। পেয়েছ নাকি ?” "মনে ত হচ্ছে ।” “সৰ্ব্বনাশ ! গুরুদেব তোমার স্কন্ধে ভর করলে আমরা দাড়াই কোথায় ? কিন্তু ব্রাহ্মেরা ত অমি জানি গুরু মানেন না ?” "কেন মানবেন না ? গুরু ব’লে মেনেছি!” ‘তবু ভাল, কিন্তু গুরু ত জীবনে এক জনই হয় । তবে তোমাদের রীতি স্বতন্ত্ৰ হ’তে পারে,—তোমরা একাধিক স্বামীও গ্রহণ ক’রে থাক ।” “দেখুন পণ্ডিত-মশায়, ও-রকম রসিকতা করবেন না--অর্ণমার ভাল লাগে না ।” কুন্দের নয়ন ক্ৰোধদীপ্ত হইয়া উঠিল—সে চলিয়া যাইতে উষ্ঠত হইল। পণ্ডিত মহাশয় কীভর অনুনয় করিয়া কহিলেন, ক্ষমা কর কুন্দ, এটা যে দোষের কথা তা আমি বুঝতে পারি নি ; স্বামিগ্রহণে দোষ হয় না, আর বলেই দোষ হয় ? ব’ল, ৰ’স, কুন্দ, রাগ কোরো না,—” কুন্দ বসিয়া কহিল, “আপনার যে আজ কি হয়েছে—সব কথাই বিকৃত ক’রে বলছেন —সত্যি কিন্তু আমার বড় রাগ ধরছে।” “ब्रांश्न cकांब्र' नां कून-ठां इ'रण म'tब्र बांब -- এত দিন ত আপনাকেক্ট