পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 98 স্বামীজীর বাণী ও রচনা শত শত শতাব্দী যাবং এই লইয়া বিবাদ করিতেছি, তিলক ধারণ এইভাবে করিতে হইবে কি ঐ ভাবে। কোন মাহুষের দৃষ্টিতে আমার খাওযু নষ্ট হইবে কিনা, এই ধরনের গুরুতর সমস্যার উপর বড় বড় বই লিখিতেছি। যেজাতির মস্তিষ্কের সমুদয় শক্তি এইরূপ অপূর্ব সুন্দর সুন্দর সমস্যার গবেষণায় নিযুক্ত, সে-জাতির নিকট হইতে বড় রকমের একটা কিছু আশা করা যায় না, এরূপ আচরণে আমাদের লজ্জাও হয় না ! ই, কখন কখন লজ্জা হয় বটে, কিন্তু আমরা যাহা ভাবি তাহা করিতে পারি না । আমরা ভাবি অনেক জিনিস, কিন্তু কাজে পরিণত করি না । এইরূপে তোতাপাখির মতে কথা বলা আমাদের অভ্যাস হইয়া গিয়াছে—আচরণে আমরা পশ্চাৎপদ । ইহার কারণ কি ? শারীরিক দুর্বলতাই ইহার কারণ । দুর্বল মস্তিষ্ক কিছু করিতে পারে না ; আমাদিগকে সবলমস্তিষ্ক হইতে হইবে—আমাদের যুবকগণকে প্রথমতঃ সবল হইতে হইবে, ধর্ম পরে আসিবে। হে আমার যুবক বন্ধুগণ, তোমরা সবল হও—তোমাদের নিকট ইহাই আমার বক্তব্য । গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরও নিকটবর্তী হইবে। আমাকে অতি সাহসপূর্বক এ-কথাগুলি বলিতে হইতেছে ; কিন্তু না বলিলেই নয়। আমি তোমাদিগকে ভালবাসি। আমি জানি, পায়ে কোথায় কাটা বিধিতেছে। আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। তোমাদের বলি, তোমাদের শরীর একটু শক্ত হইলে তোমরা গীতা আরও ভাল বুঝিবে । তোমাদের রক্ত একটু তাজ হইলে তোমরা শ্ৰীকৃষ্ণের মহতী প্রতিভা ও মহান বীর্য ভাল করিয়! বুঝিতে পারিবে । যখন তোমাদের শরীর তোমাদের পায়ের উপর দৃঢ়ভাবে দণ্ডায়মান হইবে, যখন তোমরা নিজেদের মানুষ বলিয়া অনুভব করিবে, তখনই তোমরা উল্পনিষদ ও আত্মার মহিমা ভাল করিয়া বুঝিবে। এইরূপে বেদান্ত আমাদের কাজে লাগাইতে হইবে । অনেক সময় লোকে আমার অদ্বৈতমত-প্রচারে বিরক্ত হইয়া থাকে। অদ্বৈতবাদ, দ্বৈতবাদ বা অন্য কোন বাদ প্রচার করা আমার উদ্দেশু নহে। আমাদের এখন কেবল আবশ্বক : আত্মার এই অপূর্ব তত্ত্ব—অনন্ত শক্তি, অনন্ত বীর্য, অনস্ত শুদ্ধত্ব ও অনন্ত পুর্ণতার তত্ত্ব অবগত হওয়া । t g যদি আমার একটি ছেলে থাকিত, তবে সে ভূমিষ্ঠ হইবামাত্র আমি তাহাকে শুনাইতে আরম্ভ করিতাম, ত্বমসি নিরঞ্জন’। তোমরা অবশুই পুরাণে রানী