পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের ভবিষ্যৎ >b”愛 দিয়া লক্ষ লক্ষ রীজাণু ক্রমাগত যাতায়াত করিতেছে ; যতদিন শরীর সতেজ থাকে, ততদিন কেহ ঐগুলির অস্তিত্বই বুঝিতে পারে না। শরীর যখন দুর্বল হয়, তখনই বীজাণুগুলি শরীরে প্রবেশ করিয়া রোগ উৎপন্ন করে। জাতীয়জীবনসম্বন্ধে ঠিক সেইরূপ । যখনই জাতীয় শরীর দুর্বল হয়, তখনই সেই জাতির রাজনীতিক, সামাজিক, ,মানসিক ও শিক্ষাসম্বন্ধীয় সকল ক্ষেত্রেই সর্বপ্রকার রোগবীজাণু প্রবেশ করে ও রোগ উৎপন্ন করে। অতএব ইহার প্রতীকারের জন্য রোগের মূল কারণ কি, দেখিতে হইবে এবং রক্তের সর্ববিধ মলিনতা দূর করিতে হক্টবে। , একমাত্র কর্তব্য হইবে—লোকের মধ্যে শক্তিসঞ্চার করা, রক্তকে বিশুদ্ধ করা, শরীরকে সতেজ করা, যাহাতে উহা সর্বপ্রকার বাহ বিষের প্রবেশ প্রতিরোধ করিতে পারে ও ভিতরের বিষকে বাহির করিয়া দিতে পারে । আমরা পূর্বেই দেখিয়াছি, আমাদের ধর্মই আমাদের তেজ, বীর্ষ, এমন কি জাতীয় জীবনের মূলভিত্তি। আমি এখন এ বিচার করিতে যাইতেছি না যে, ধর্ম সত্য কি মিথ্যা ; আমি বিচার করিতে যাইতেছি না যে, ধর্মেই আমাদের জাতীয় জীবনের ভিত্তিস্থাপন করায় পরিণামে আমাদের কল্যাণ বা অকল্যাণ হইবে ; ভালই হউক বা মন্দই হউক, ধর্মে আমাদের জাতীয় ভিত্তি রহিয়াছে, তোমরা উহ। ত্যাগ করিতে পার না, চিরকালের জন্য উহাই তোমাদের জাতীয় জীবনের ভিত্তিস্বরূপ রহিয়াছে, স্থতরাং আমাদের ধর্মে আমার যেমন বিশ্বাস আছে, তোমাদের যদি তেমন না-ও থাকে, তথাপি তোমাদিগকে এই ধর্ম অবলম্বন করিয়াই থাকিতে হইবে । তোমরা এই ধর্মবন্ধনে চির আবদ্ধ ; যদি ধর্ম পরিত্যাগ কর, তবে তোমরা চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া যাইবে । ধর্মই আমাদের জাতির জীবনস্বরূপ, ইহাকে দৃঢ় করিতে হইবে। তোমরা যে শত শতাঙ্গীর "অত্যাচার সহ করিয়া এখনও অক্ষতভাবে দাড়াইয়া আছ, তাহার কারণ তোমরা সযত্নে এই ধর্ম রক্ষা করিয়াছ, উহার জন্য অন্য সকল স্বার্থ ত্যাগ করিয়াছ। এই ধৰ্মরক্ষার জন্য তোমাদের পুর্বপুরুষগণ সাহসপুর্বক সকলই সহ করিয়াছিলেন, এমন কি মৃত্যুকে পর্যন্ত আলিঙ্গন করিতে প্রস্তুত ছিলেন । বৈদেশিক বিজেতাগণ আসিয়া মন্দিরের পর মন্দির ভাঙিয়াছে—কিন্তু এই অত্যাচারস্রোত যেই একটু বন্ধ হইয়াছে, আবার সেইখানে মন্দিরের চুড়া উঠিয়াছে। অসেক গ্রন্থপাঠে ঘাহা না শিখিতে পারে, গুজরাটের সোমনাথ