পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধর্মের সাধারণ ভিত্তি २११ তোমাদের মধ্যে যুহারা পাশ্চাত্য তত্ত্বরাশির আলোচনায় বিশেষভাবে নিযুক্ত, তাহারা ইতঃপূর্বেই লক্ষ্য করিয়া থাকিবে যে, একটা মৌলিক প্রভেদ যেন প্রাচ্য হইতে পাশ্চাত্যকে এক কুঠারাঘাতে পৃথক্ করিয়া দিতেছে ; সেটি এই যে— আমরা ভারতে সকলেই বিশ্বাস করি, আমরা শাক্তই হই, শৈবই হই, বৈষ্ণবই হই, এমন কি বৌদ্ধ বা জৈনই হই—আমরা সকলেই বিশ্বাস করি যে, আত্মা স্বভাবতই শুদ্ধ ও পুর্ণস্বভাব, অনন্তশক্তিসম্পন্ন ও আনন্দময়। কেবল দ্বৈতবাদীর মতে আত্মার এই স্বাভাবিক আনন্দ-স্বভাব অতীত-অসৎকর্মজন্য সঙ্কোচপ্রাপ্ত হইয়াছে, আর "ঈশ্বরাচুগ্রহে উহা আবার সঙ্কোচমুক্ত হইবে এবং আত্মা নিজ পূর্ণস্বভাব পুনঃপ্রাপ্ত হইবেন । কিন্তু অদ্বৈতবাদীর মতে আত্মা কিছুদিনের জন্য সঙ্কোচ প্রাপ্ত হন, এ ধারণাটিও আংশিকভাবে ভ্ৰমাত্মক—মায়াবৃত হওয়ার ফলেই আমরা ভাবি যে, আত্মা যেন তাহার সমুদয় শক্তি হারাইয়াছেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তখনও তাহার সমুদয় শক্তির পূর্ণ প্রকাশ থাকে। দ্বৈত ও অদ্বৈতবাদীর মতে এই প্রভেদ থাকিলেও মূল তবে অর্থাৎ আত্মার স্বাভাবিক পুর্ণত্বে সকলেই বিশ্বাসী, আর এখানেই প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবের মধ্যে বজ্ৰদৃঢ় প্রাচীর-ব্যবধান । প্রাচ্য জাতি যাহা কিছু মহৎ, যাহা কিছু ভাল, তাহা অস্তরে অন্বেষণ করে। উপাসনার সময় আমরা চক্ষু মুদিয়া ঈশ্বরকে অস্তরে লাভ করিবার জন্য চেষ্টা করি, পাশ্চাত্য জাতি ঈশ্বরকে বাহিরে অন্বেষণ করে। পাশ্চাত্যগণের ধর্মপুস্তকসমূহ inspired—সুতরাং শ্বাস-গ্রহণের ন্যায় বাহির হইতে ভিতরে আসিয়াছে। জুমাদের ধর্মশাস্ত্রসমূহ কিন্তু Expired—শ্বাসপরিত্যাগের ন্যায় ভিতর হইতে বাহিরে আসিয়াছে—ঐগুল্লি ঈশ্বর-নিঃশ্বসিত, মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিগণের হৃদয় হইতে উহারা নিঃস্থত হইয়াছে ॥১ এইটিই একটি প্রধান বুঝিবার জিনিস ; হে আমার বন্ধুগণ, আমার ভ্রাতুগণ, "আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ভবিষ্যতে এই বিষয়টি আমাদিগকে বিশেষভাবে বার বার লোককে বুঝাইতে হইবে। কারণ আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবং আমি তোমাদিগকেও এই বিষয়টি ভাল করিয়া বুঝিবার জন্য অনুরোধ করিতেছি যে, ষে ব্যক্তি দিবারাত্র আপনাকে হীন ভাবে, তাহার দ্বারা ভাল কিছু হইতে পারে না। "যদি কোন ব্যক্তি দিবারাত্র আপনাকে দীন দুঃখী হীন ভাবে, সে কীনই ساختماد به سمت متمم-سید