পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু ও খ্ৰীষ্টান Svss 4: Rist's coastfä Güo 27's 'Hindus and Christians' বস্তৃতার অনুবাদ । th বিভিন্ন দর্শনের তুলনায় দেখা যায়, হিন্দুদর্শনের প্রবণতা ধ্বংস করা নয়, বরং প্রত্যেক বিষয়ে সমন্বয় করা । যদি ভারতে নতুন কোন ভাব আসে, আমরা তার বিরোধিতা করি না, বরং তাকে আত্মসাৎ ক’রে নিই,.অন্যান্য ভাবের সঙ্গে মিলিয়ে নিই, কারণ আমাদের দেশের সত্যদ্রষ্টা মহাপুরুষ ভগবানের অবতার শ্রীকৃষ্ণই প্রথম এই পদ্ধতি শিখিয়ে গেছেন। শ্রীভগবান এই অবতারেই প্রথম প্রচার ক’রে গেছেন, “আমি ঈশ্বরের অবতার, আমিই বেদাদি গ্রন্থের প্রেরয়িত, আমিই সকল ধর্মের উৎস । তাই আমরা কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থকে প্রত্যাখ্যান করতে পারি না । খ্ৰীষ্টানদের সঙ্গে আমাদের একটি বিষয়ে বড়ই পার্থক্য, এটি আমাদের কেউ কোন দিন শেখায়নি । সেটি হচ্ছে যীশুর রক্ত দিয়ে মুক্তি, অথবা একজনের রক্তদ্বারা নিজেকে শুদ্ধ হ’তে হবে । ইহুদীদের মতো বলিদান-প্রথা আমাদেরও আছে । আমাদের এই বলি বা উৎসর্গ-প্রথার সহজ অর্থ ; আমি কিছু খেতে যাচ্ছি, কিছু অংশ ঈশ্বরকে নিবেদন না করাটা ভাল নয়। তাই আমি আমার খাদ্য ঈশ্বরকে নিবেদন করি ; সহজে সংক্ষেপে এই হ’ল ভাবটি । তবে ইহুদীর ধারণা উৎসর্গীকৃত মেষটির উপর তার পাপরাশি চলে যাবে, আর সে পাপমুক্ত । হবে । এই ‘সুন্দর’ ভাবটি আমাদের দেশে বিকাশ লাভ করেনি, তার জন্যে আমি আনন্দিত। অন্তের কথা বলতে পারি না, তবে আমি কখনও এই ধরনের বিশ্বাস দ্বারা পরিত্রাণ চাই না । যদি কেউ এসে আমাকে বলে, “আমার রক্তের বিনিময়ে মুক্ত হও’, তাকে ব’লব, ভাই, চলে যাও, বরং আমি নরকে যাব। আমি এমন কাপুরুষ নই যে, একজন নিরপরাধ ব্যক্তির রক্ত নিয়ে স্বর্গে যাব । আমি নরকে যাবার জন্য প্রস্তুত।” ঐ ধরনের বিশ্বাস আমাদের দেশে উদ্ভূত হয়নি। আমাদের দেশের অবতার বলেছেন ; যখনই পৃথিবীতে অসদৃভাব ও দুর্নীতি প্রবল হবে, তখনই তিনি আসবেন তার সন্তানদের সাহায্য করতে, এবং তিনি যুগে যুগে দেশে দেশে এই কাজ করে আসছেন। পৃথিবীর যেখানেই