পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের নারী 8‹2ፃ বিবাহ, নামক,আর একটি অনুষ্ঠান করা হয় । তারপর তাহারা একসঙ্গে বাস করিতে থাকে, কিন্তু পিতামাতার সহিত একত্র একই বাড়িতে। বধু যখন জননী হয়, তখন তাহার পরিবারটুকুর সর্বেসর্বা হইবার সময় আসে। এখন আর একটি অদ্ভূত ভারতীয় সমাজ-ব্যবস্থার কথা বলিব। আমি এইমাত্র আপনাদিগকে বলিয়াছি যে, প্রথম দুই তিন বর্ণের ভিতর বিধবারা আর বিবাহ করিতে পারে না ; ইচ্ছা থাকিলেও পারে না । অবশ্য অনেকের নিকট ইহা একটি কঠোরতা। অস্বীকার করা যায় না যে, বহু বিধবাই ইহা পছন্দ করে না, কারণ বিবাহ না করার অর্থ হইল ব্রহ্মচারিণীর জীবন যাপন করা ; অর্থাৎ তাহারা কখনই মাছ-মাংস খাইবে না, মদ্য পান করিবে না এবং শ্বেতবস্ত্র ছাড়া অন্য কোন বস্ত্র পরিবে না, ইত্যাদি। এ জীবনে বহু বিধিনিষেধ আছে। আমরা সন্ন্যাসীর জাতি, সর্বদাই তপস্যা করিতেছি এবং তপস্ত আমরা ভালবাসি। মেয়েরা কখনও মাংস খায় না । আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, তথন আমাদের কষ্ট করিয়া পানাহারে সংযম অভ্যাস করিতে হইত, মেয়েদের পক্ষে ইহা কষ্টকর নয়। আমাদের মেয়েরা মনে করে, মাংস খাওয়ার কথা চিন্তা করিলেও মর্যাদাহানি হয় । কোন কোন বর্ণের পুরুষরা মাংস খায়, কিন্তু মেয়েরা কখনও খায় না । তথাপি বিবাহ না করিতে পাওয়া যে অনেকের পক্ষে কষ্ট—এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত । কিন্তু আমাদিগকে আবার মূলে ফিরিয়া ষাইতে হইবে । ভারতীয়ের গভীরভাবে সমাজতান্ত্রিক। পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, প্রত্যেক দেশের উচ্চ বর্ণের ভিতর পুরুষের সংগ্ল্যা অপেক্ষ নারীর সংখ্যা বহুগুণে অধিক। ইহার কারণ কি ? কারণ উচ্চবর্ণের নারীরা বংশানুক্রমে আরামে জীবন যাপন করেন। ‘র্তাহারা পরিশ্রম করেন না, স্বতাও কাটেন না, তথাপি সলোমন তাহার সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচ্ছদেও তাহাদের মতো ভূষিত হন নাই।” আর বেচারী পুরুষেরা, তাহারা মাছির মতো মরে। ভারতবর্ষে আরও বলা হয়, মেয়েদের প্রাণ বড়ই কঠিন, সহজে যায় না। পরিসংখ্যানে দেখিবেন যে, মেয়ের অতিজ্ঞতহারে পুরুষের সংখ্যা অতিক্রম করে। - অবগু বর্তমানে স্ত্রীলোকের পুরুষদেরই মর্তো কঠোর পরিশ্রম করে বলিয়া ইহার ব্যতিক্রম দেখা যায়। উচ্চবর্ণের নারী > New Testament: St Matthew—v1. 29, 30.