হিন্দুধর্মের সার্বভৌমিকত B&t ভাবাত্মক, যাহা কিছু গঠনমূলক, शेश কোন একটি সত্য স্থাপন করে, তাহাই অবিনাশী, তাহাই চিরকাল থাকিবে । এস, আমরা বলিতে থাকি, ‘আমরা সংস্বরূপ, ব্ৰহ্ম সংস্বরূপ, আর আমরাই ব্রহ্ম, শিবোহহম শিবোহহম্— এই বলিয়। চলো—অগ্রসর হই। জড় নয়, চৈতন্যই আমাদের লক্ষ্য । ধে কোন বস্তুর নামরূপ আছে, তাহাই নামরূপাতীত সন্তার অধীন। শ্রুতি বলেন, ইহাই সনাতন সত্য । আলো আনো, অন্ধকার আপনি চলিয়। যাইবে । বেদান্তকেশরী গর্জন করুক, শৃগালগণ তাহাদের গর্তে পলায়ন করিবে । চারিদিকে ভবি.ছডাইতে থাকে ; ফল যাহা হইবার, হউক। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ একত্র রাখিয়া দাও, উহাদের মিশ্রণ আপনা-আপনিই হইবে । আত্মার শক্তি বিকশিত কর ; উহার শক্তি ভারতের সর্বত্র ছড়াইয় দাও ; যাহ। কিছু প্রয়োজন, তাহ। আপনিই আসিবে । তোমার অস্তর্নিহিত ব্ৰহ্মভাব বিকশিত কর, আর সব কিছুই উহার চারিদিকে স্থ সমঞ্জসভাবে মিলিত হইবে । বেদে বর্ণিত ইন্দ্রবিরোচনসংবাদ * স্মরণ কর । উভয়েই র্তাহীদের ব্রহ্মত্ব সম্বন্ধে উপদেশ পাইলেন । কিন্তু অম্বর বিরোচন নিজের দেহকেই ব্রহ্ম বলিয়া স্থির করিলেন, কিন্তু দেব তা বলিয়া ইন্দ্র বুঝিতে পারিলেন, আত্মাকেই ব্রহ্ম বলা হইয়াছে। তোমরা সেই ইন্দ্রের সস্তান ; তোমরা সেই দেবগণের বংশধর । জড় কথন তোমাদের ঈশ্বর হইতে পারে না, দেহ কখন তোমাদের ঈশ্বর হইতে পারে না । ভারত আবার উঠবে, কিন্তু জড়ের শক্তিতে নয়, চৈতন্তের শক্তিতে ; বিনাশের বিজয়পতাকা লইয়া নয়, শাস্তি ও প্রেমের পতাকা লইয়া –সন্ন্যাসীর গৈরিক বেশ-সহায়ে ; অর্থের শক্তিতে নয়, ভিক্ষণপাত্রের শক্তিতে । বলিও না, তোমরা দুর্বল ; বাস্তবিক সেই আত্মা সর্বশক্তিমান । শ্রীরামকৃষ্ণেব দিব্য চরণম্পর্শে যে মুষ্টিমেয় যুবকদলের অভু্যদয় হইয়াছে, তাহাদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর । তাহারা আসাম হইতে সিন্ধু, হিমালয় হইতে কুমারিক পর্যন্ত র্তাহার উপদেশামুত প্রচার করিয়াছে। তাহারা পদব্রজে ২০,০০০ ফুট উর্ধের্ব হিমালয়ের তুষাররাশি অতিক্রম করিয়া তিব্বতের রহস্য ভেদ করিয়াছে। তাহার। চীরধারী হইয়া দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করিয়াছে। কত অত্যাচার তাহাদের উপর ১ ছামোগ্যোপনিষদের শেষাংশ (৮ম, ৭-১২ ) স্রষ্টব্য। & -\డి ది
