পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্তব্য কি ? . Եր:) পরে আমরা দেখিব, কর্তব্যের এই ধারণাও পরিবর্তিত হয় ; আরও দেখিৰ যখন কর্মের পশ্চাতে স্বার্থপ্রেরণা খাকে না, তখনই মাছুষ শ্রেষ্ঠ কর্ম করিতে পারে। তাহা হইলেও কর্তব্যজ্ঞানে কৃত কর্মই আমাদিগকে কর্তব্যজ্ঞানের অতীত কর্মে লইয়া যায় ; তখন কর্ম উপাসনায় পরিণত হয়, শুধু তাই নয়, তখন কেবল কর্মের জন্যই কর্ম অনুষ্ঠিত হইয় থাকে। তবে ইহা অাদর্শমাত্র, উহা লাভ করিবার উপায় এই "কর্তব্য’। আমরা দেখিব, কর্তব্যের তত্ত্ব—নীতি বা প্রেম—যে-কোন রূপেই প্রকাশিত হউক না কেন, ইহা অন্যান্য যোগের মতোই ; ইহার উদ্দেশু—‘কাচ আমি"কে ক্রমশঃ সূক্ষ্ম করা, যাহাতে ‘পাকা আমি নিজ মহিমায় শোভা পাইতে পারেন, ইহার উদেখ—নিমন্তরের শক্তিক্ষয় নিবারণ করা, যাহাতে আত্মা উচ্চতর ভূমিতে নিজেকে প্রকাশ করিতে পারেন । নীচ বাসনাগুলিকে ক্রমাগত ত্যাগ বা অস্বীকার করিলেই আত্মার মহিমা প্রকাশিত হয়। কর্তব্য কর্ম করিতে গেলে অতি কঠোরভাবে এই ত্যাগ আবগুক হয়। এইরূপেই জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে সমগ্র সমাজ-সংহতি গড়িয়া উঠিয়াছে। এই কর্ম ও অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে স্বার্থপূর্ণ বাসন কমাইতে কমাইতে আমরা মানুষের প্রকৃত স্বরূপের অনন্ত বিস্তৃতির পথ খুলিয়া দিই। ভিতরের দিক হইতে দেখিলে কর্তব্যের এই একটি নিশ্চিত নিয়ম পাওয়া যায় যে, স্বার্থপরতা ও ইন্দ্রিয়পরতা হইতে পাপ ও অসাধুতার উদ্ভব, আর নিঃস্বার্থ প্রেম ও আত্মসংযম হইতে ধর্মের বিকাশ । কর্তব্য বিশেষ রুচিকর নয়। প্রেম কর্তব্য-চক্রকে স্নেহসিক্ত করিলে তবেই উহা বেশ সহজভাবে চলিতে থাকে, নতুব কর্তব্য ক্রমাগত সংঘর্ষ। অন্তথা কিভাবে পিতামাতা সন্তানের প্রতি, সস্তান পিতামাতার প্রতি, স্বামী স্ত্রীর প্রতি, এবং স্ত্রী স্বামীর প্রতি কর্তব্যপালন করিতে পারে ? আমরা কি জীবনের প্রতিদিনই সংঘর্ষের সন্মুখীন হইতেছি না ? প্রেমমিশ্রিত হইলেই কর্তব্য রুচিকর হয়। প্রেম আবার কেবল স্বাধীনতাতেই দীপ্তি পায় ; কিন্তু ইঞ্জিয়ের দাস, ক্রোধের দাস, ঈর্ষার দাস আরও ষে শত শত ছোট ছোট ঘটনা জীবনে প্রত্যহ ঘটিবেই, সেগুলির জাস হওয়াই কি স্বাধীনতা ? আমরা জীবনে যে-সব ছোটখাট রূঢ় সংঘর্ষের সন্মুখীন एहे, भैखणि नश् कब्रांहे चांशैौबङांद्र नळदीक अठियाद्धि । बांशैर्ण१ बिरजप्तद्र