পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা 9אמ צ না ! ইহা অামাদের কামনারূপ অগ্নিতে ঘৃত নিক্ষেপ করা মাত্র। সন্তানদিগকে এমন বাজে কথা শিখাইও না। তারপর আর একদল লোক আছেন, তাহার আবার আর এক ধরনের নির্বোধ। র্তাহারা অামাদিগকে শিক্ষা দেন, আমর মারিয়া খাইব বলিয়াই এই-সকল জীবজন্তু স্থই হইয়াছে, আর এই জগৎ মানুষের ভোগের জন্য। এও প্রচণ্ড নিৰুদ্ধিতা। বাঘও বলিতে পাবে, ‘মানুষ আমার জন্য হই’ এবং ভগবানকে বলিতে পারে, প্রভো, মানুষগুলি কি দুষ্ট ! তাহারা স্বেচ্ছায় আমাদের সম্মুখে আহাররূপে আসিয়া হাজির হয় ন| তাহারা তোমার আজ্ঞা লঙ্ঘন করিতেছে।” যদি জগৎ আমাদের জন্য স্থঃ হইয়া থাকে, আমরাও জগতের জন্য স্বস্ট হইয়াছি। এই জগৎ আমাদের ভোগের জন্যই স্বষ্ট হইয়াছে—এই অতি দুর্নীতিপূর্ণ ধারণাই আমাদিগকে বাধিয়া রাখিয়াছে। এই জগৎ আমাদের জন্য নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবৎসর ইহজগৎ হইতে চলিয়া যাইতেছে, জগতের সেদিকে খেয়ালী নাই। আর লক্ষ লক্ষ মানুষ তাহদের স্থান পূরণ করিতেছে। জগৎ যতখানি আমাদের জন্য, আমরাও ততখানি জগতের জন্য । অতএব ঠিকভাবে কাজ করিতে হইলে প্রথমেই আসক্তির ভাব ত্যাগ করিতে হইবে। দ্বিতীয়তঃ হৈচৈ-পূর্ণ কলহে নিজেকে জড়াইও না ; নিচে সাক্ষি-স্বরূপ অবস্থিত থাকিয়া কৰ্ম করিয়া যাও । আমার গুরুদেব বলিতেন, ‘নিজ সন্তানদের উপর দাসী বা ধাত্রীর ভাব অবলম্বন কর।” দাসী তোমা শিশুকে লইয়া আদর করিবে, তাহার সহিত খেলা করিবে, অতি স্বত্বের সহিত লালন করিবে, যেন তাহার নিজের সস্তান ; কিন্তু দাসীকে বিদায় দিবাম দ্র সে গাটরি বাধিয়া তোমার বাড়ি হইতে চলিয়া যাইতে প্রস্তুত। এত যে ভালবাসা ও আসক্তি, সবই সে ভুলিয়া যায়। সাধারণ দাসীর পক্ষে তোমাৰ সস্তানদের ছাড়িয়া অপরের ছেলের ভার লইতে কিছুমাত্র কষ্ট হইবে না। তুমিও যাহা কিছু তোমার নিজের মনে কর, সে-সবের প্রতি এইরূপ ভাব পোষণ কর । তুমি যেন দাসী, আর যদি ঈশ্বরে বিশ্বাসী হও, তবে বিশ্বাস কব, যাহা কিছু তোমার মনে কর, সবই তাহারf অত্যধিক দুর্বলতাই অনেক সময মহত্তম কল্যাণ ও শক্তির ছদ্মবেশে দেখা দেয়। আমার উপর কেহ নিত র করে এবং আমি কাহারও উপকার করিতে পারি, এরূপ চিন্তা করাই অত্যন্ত দুর্বলত। এই বিশ্বাস হইতেই আমাদের সর্বপ্রকার আসক্তি জন্মায় এবং এই