পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खडांब ७ क* ১৭৩ নিজেকে দেহভাবশূন্ত-অনুভব কর। কোন কালে তোমার দেহ ছিল না। ইহ। আগাগোড়া কুসংস্কার। দরিদ্র, আর্ত, পদদলিত, অত্যাচারিত, রোগপীড়িত—সকলের মধ্যে দিব্য চেতনা জাগাইয়া তোল) বাহ্যতঃ প্রায় প্রতি পাঁচশত বৎসর অন্তর পৃথিবীতে এই প্রকার ভাব-তরঙ্গ আসিয়া থাকে। ছোট ছোট তরঙ্গ নানাদিকে উখিত হয় ; কিন্তু একটি অন্তগুলিকে গ্রাস করে এবং সমাজকে প্লাবিত করে। ষে ভাব-তরঙ্গের পিছনে সর্বাধিক চরিত্রবল আছে, তাহাই এইরূপ করিয়া থাকে । কনফুসিয়ুস, মুসা, পিথাগোরাস, ৰুদ্ধ, খ্ৰীষ্ট, মহম্মদ, লুথার, ক্যালভিন, ও শিখগুরুগণ এবং থিওলফি, অধ্যাত্মবাদ প্রভৃতি সকলেরই অন্তনিহিত ভাব দেবত্ব প্রচার করা । কখনও বলিও না, মানুষ দুর্বল। জ্ঞানযোগ অন্যান্য যোগের মতোই। প্রেমই আদর্শ, প্রেম কোন বাহাবস্তুর অপেক্ষা করে না । প্রেমই ঈশ্বর। স্বতরাং এই ভক্তির পথেও আমরা আত্ম-স্বরূপ ভগবানকে লাভ করি। ‘সোহহম । নগর, দেশ, জীব, জগৎকে ভাল না বাসিলে কিভাবে কাজ করা যায় ? বিচারের দ্বারা বৈচিত্র্যের মধ্যে একত্ব অনুভব করা যায়। নাস্তিক এবং অজ্ঞেয়বাদীরা সামাজিক কল্যাণের জন্য কাজ করুক। এইভাবেই ঈশ্বর अन्नडूऊ श्म । কিন্তু একটি বিষয়ে খুব সতর্ক থাকিবে : কাহারও বিশ্বাস নষ্ট করিবে না। জানিও—ধর্ম কোন মতবাদে নাই । আদর্শস্বরূপ হইয়া যাওয়াই ধর্ম, অনুভূতিই ধর্ম। মাহুষমাত্রেই জন্মগতভাবে পৌত্তলিক। সর্বনিম্নস্তরের মানুষ পণ্ড, উচ্চতম মানুষ সিদ্ধ বা পূর্ণ। এই দুই স্তরের মাঝামাঝি সকলকেই শব্দ, বর্ণ, মতবাদ ও আচার-অনুষ্ঠান অবলম্বন করিয়াই চিন্তা করিতে হয়। পৌত্তলিকতা যে শেষ হইয়াছে, তাহার পরীক্ষা : যখন বলে, “আমি', তখন তোমার চিন্তায় শরীর আসে কি আসে না ? যদি শরীর-চিত্তা আলে, তৰে তুমি তখনও পুতুলপূজক। ধর্ম মোটেই বুদ্ধির কচকচি নয়—ধৰ্ম অপরোক্ষাস্থভূতি। যদি ঈশ্বর-বিষয়ে চিন্তা’ কর, তবে তুমি নিতান্তই মুর্থ। অজ্ঞ সাধক প্রার্থণা ও ভক্তির দ্বারা দার্শনিককেও অতিক্রম করিতে পারে । ঈশ্বরকে জানিবার জন্ত কোন দর্শনশাস্ত্রের, প্রয়োজন হয় না। অপরের বিশ্বাস নষ্ট করা আমাদের কর্তব্য নয়। ধর্ম প্রত্যক্ষ चखिञ्जङी ।