পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬২ प्रांशैर्छौब्र वांशैौ ७ ब्रछबां ইহাজের মধ্যে আপাততঃ আমাদের দুইটি কেন্দ্রের (চক্রের ) কথা জাম} আবগুক—সর্বনিয়ে মূলাধার ও সর্বোচ্চ কেঙ্গে অবস্থিত সহস্রার। সর্বনিম্ন চক্রেই সমুদয় শক্তি অবস্থিত, আর সেই স্থান হইতে উহাকে মস্তিষ্কস্থ সর্বোচ্চ চক্রে লইয়া যাইতে হুইবে । যোগীরা বলেন, মকুন্তদেহে যত শক্তি অবস্থিত, তাহীদের মধ্যে মহত্তম শক্তি ওজঃ এই ওজঃ মক্সিজে-গ্রথিত থাকেযাহার মস্তকে ষে পরিমাণে ওজোধাতু সঞ্চিত থাকে, সে সেই পরিমাণে বুদ্ধিমান ও আধ্যাত্মিক শক্তিতে শক্তিমান হয়। এক ব্যক্তি অতি স্বন্দর ভাব ব্যক্ত করিতেছে, কিন্তু লোক আকৃষ্ট হইতেছে না, আবার অপর ব্যক্তি ষে খুব স্বন্দর ভাষায় মুন্দর ভাব বলিতেছে তাছা নয়, তৰু তাহার কথায় লোকে মুগ্ধ হইতেছে। ওজঃশক্তি শরীর হইতে বহির্গত হইয়াই এই অদ্ভুত ব্যাপার সাধন করে। এই ওজঃশক্তিসম্পন্ন পুরুষ যে-কোন কার্য করেন, তাহাতেই মহাশক্তির বিকাশ দেখা যায়। ইহাই ওজোধাতুর শক্তি । সকল মানুষের ভিতরেই অল্পাধিক পরিমাণে এই ওজঃ আছে ; শরীরের মধ্যে যতগুলি শক্তি ক্রিয়া করিতেছে, তাহদের উচ্চতম বিকাশ_এই ওজঃ । ইহা অামাদের সর্বদা মনে রাখা আৰশুক যে, এক শক্তিই আর এক শক্তিতে পরিণত হইতেছে। বহির্জগতে যে শক্তি তড়িৎ বা চৌম্বক শক্তিরূপে প্রকাশ পাইতেছে, তাহা ক্রমশঃ আভ্যন্তরীণ শক্তিরূপে পরিণত হইবে, পেশীর শক্তিগুলিও ওজোরূপে পরিণত হইবে। যোগীরা বলেন, মাজুষের মধ্যে যে শক্তি কামক্রিয়া, কামচিস্তা ইত্যাদিরূপে প্রকাশ পাইতেছে, তাহ সংঘত হইলে সহজেই ওজোরূপে পরিণত হইয়া যায়। আর আমাদের শরীরস্থ নিম্নতম কেন্দ্রটি এই শক্তির নিয়ামক বলিয়া যোগীরা উহার প্রতিই বিশেষ লক্ষ্য রাখেন। যোগীরা সমুদয় কামশক্তিকে ওজোধাতুতে পরিণত করিতে চেষ্টা করেন। পবিত্ৰ কামজয়ী নরনারীই কেবল এই ওজোধাতুকে মস্তিষ্কে সঞ্চিত করিতে সমর্থ হন। এইজন্যই সর্বদেশে ব্রহ্মচর্ষ শ্রেষ্ঠ ধৰ্মরূপে পরিগণিত হইয়াছে। মানুষ সহজেই বুঝিতে পারে যে, অপবিত্র হইলে এবং ব্রহ্মচর্ষের অভাবে আধ্যাত্মিক ভাব, চরিত্রবল ও মানসিক তেজ–সবই চলিয়া যায়। এই কারণেই দেখিতে পাইবে, জগতে যে-সব ধর্মসম্প্রদায় হইতে বড় বড় ধর্মীর জন্সিয়াছেন, সেই-সকল সম্প্রদায়ই ব্রহ্মচর্বের উপর বিশেষ জোর দিয়াছেন। এই জন্যই বিবাহত্যাগী সন্ন্যালিদলের উৎপত্তি হইয়াছে। কায়মনো