পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা سيماويO\ ব্রহ্মচৰ্যবান ব্যক্তির মস্তিষ্কে প্রবল শক্তি—মহতী ইচ্ছাশক্তি সঞ্চিত থাকে। পবিত্রতা ব্যতীত অধ্যাত্মিক শক্তি সম্ভব নয়। ব্ৰহ্মচর্ষ দ্বারা মাছুষের উপর আশ্চর্য ক্ষমতা লাভ করা যায়। মানবসমাজের ধর্ম-নেতাগণ সকলেষ্ট ব্ৰহ্মচৰ্যবান ছিলেন, এই ব্রহ্মচর্য হইতেই তাহারা শক্তি লাভ করিয়াছিলেন ; অতএব যোগী অবশুই ব্রহ্মচৰ্যবান হইবেন অপরিগ্রহস্থৈৰ্যে জন্মকথস্তাসংবোধ ॥৩৯ ॥ —অপরিগ্রহ দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত হইলে পূর্বজন্ম স্মৃতিপথে উদিত হইবে। যখন কেহ অপরের নিকট হইতে কোন বস্তু গ্রহণ করেন না, তখন র্তাহার অপরের সহিত বাধ্যবাধকতা হয় না, তিনি স্বাধীন ও মুক্তই থাকেন। তাহার মন শুদ্ধ হইয়া যায়। প্রতিটি দানের সহিত দাতার মন্দ ভাবগুলিও গ্রহণ করিতে হইতে পারে । এই পরিগ্রহ ত্যাগ করিলে মন শুদ্ধ হইয়া ষায়, আর ইহা হইতে যে-সকল শক্তি লাভ হয়, তন্মধ্যে প্রথম পূর্বজন্মকথা মনে করিতে পার। তখনই সেই যোগী সম্পূর্ণরূপে তাহার নিজ আদর্শে দৃঢ় হইয়া থাকিতে পারেন। কারণ তিনি দেখিতে পান, বহুবার তিনি কেবল যাওয়া-আসা করিতেছেন। সুতরাং তিনি তখন হইতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞান্ধঢ় হন যে, এইবার আমি মুক্ত হইব, আর যাওয়া-আসা করিব না, আর প্রকৃতির দাস হইব না। শৌচাৎ স্বাঙ্গজুগুলা পরৈরসংসর্গ ॥৪০ ॥ —শৌচ প্রতিষ্ঠিত হইলে নিজের শরীরের প্রতি ঘৃণার উদ্রেক হয়, অন্যের সঙ্গ করিতেও আর প্রবৃত্তি থাকে না । যখন বাস্তবিক বাহ ও আস্তর—উভয় প্রকার শৌচ সিদ্ধ হয়, তখন শরীরের প্রতি অযত্ব আসে ; কিসে উহা ভাল থাকিবে, কিসেই বা উহ। সুন্দর দেখাইবে, এ-সকল ভাব একেবারে চলিয়া যায়। অপরে যে মুখ অতি সুন্দর বলিবে, তাহাতে জ্ঞানের কোন চিহ্ন না থাকিলে যোগীর নিকট তাহ পশুর মুখ বলিয়া প্রতীয়মান হইবে। জগতের লোক ধে মুখে কোন বিশেষত্ব দেখে না, তাহার পশ্চাতে চৈতন্যের প্রকাশ থাকিলে তিনি তাহাকে স্বগীয় মনে করিবেন। এই দেহতৃষ্ণ মচুন্যজীবনে সর্বনাশের কারণ। স্বতরাং শৌচপ্রতিষ্ঠার প্রথম লক্ষণ এই যে, তুমি নিজে একটি শরীর বলিয়া ভাবিতে