8 e à चांशैौर्खौब्र यांनॆी ७ ब्रक्रम মন্থন্তদেহের বাসনা আর দেবদেহের বাসনা একরূপ নয়। দেবশরীর ভোজন বা পান কিছুই করে না। তাছা হইলে আত্মার যে প্রাক্তন অভূক্ত কর্ম আহার ও পানের বাসনা স্বজন করিয়াছে, সেগুলি কোথায় যাইবে ? আমি যদি দেবতা হই, তাহা হইলে এই কর্ম কোথায় যাইবে ? ইহার উত্তর এই যে, বাসনা উপযুক্ত পরিবেশ ও ক্ষেত্র পাইলেই প্রকাশিত হইতে পারে। যে-সকল বাসনার প্রকাশের উপযুক্ত পরিবেশ হইয়াছে, কেবল সেগুলিই প্রকাশ পাইবে ; অবশিষ্টগুলি সঞ্চিত হইয়া থাকিবে । এই জীবনেই আমাদের অনেক দেবোচিত, অনেক মকুম্বোচিত ও অনেক পাশব বাসনা রহিয়াছে। অামি যদি দেবদেহ ধারণ করি, তবে কেবল শুভ বাসনাগুলি ফলোমুখ হইবে, কারণ ঐগুলি প্রকাশের জন্য পরিবেশ উপযুক্ত হইয়াছে। আমি যদি পশুদেহ ধারণ করি, তাহা হইলে কেবল পাশব বাসনাগুলিই আগাইয়া আসিবে। শুভ বাসনাগুলি তখন অপেক্ষা করিতে থাকিবে। ইহাতে কি প্রমাণিত হয় ? প্রমাণিত হয় যে, উপযুক্ত পরিবেশের সাহায্যে এই বাসনাগুলি আমরা দমন করিতে পারি। কেবল ষে কর্ম সেই বিশেষ পরিবেশের উপযোগী, তাহাই প্রকাশ পাইবে। ইহাতে প্রমাণিত হইতেছে যে, পরিবেশের শক্তিতে কর্মকেও নিয়ন্ত্রিত করা যায়। জাভিদেশকলব্যবহিতনামপ্যানন্তৰ্যং স্মৃতিসংস্করয়োরেকরূপত্বাৎ ॥ ৯ । —ম্মুতি ও সংস্কার একরূপ বলিয়া জাতি, দেশ ও কাল ব্যবহিত হইলেও বাসনার আনন্তৰ্য হইবে। অনুভূতিসমূহ স্বল্প সংস্কাররূপে পরিণত হয়, জাগরিত সংস্কারকেই ‘স্মৃতি বলে। বর্তমানে জ্ঞাতসারে কৃত কর্মের সহিত সংস্কাররূপে পরিণত পূর্বাক্ষভূতিসমূহের মনের অগোচরে যে সমন্বয় হয়, তাহাও এই স্থতির অন্তভূক্ত। প্রত্যেক দেহে, তজ্জাতীয় দেহে যে-সকল সংস্কার লব্ধ হইয়াছে, কেবল সেগুলি সেই দেহে কর্মের কারণ হইবে। ভিন্ন জাতীয় দেহের সংস্ক'ব তখন স্তিমিতভাবে থাকিবে। প্রত্যেক শরীরই সেই জাতীয় কতকগুলি শরীরের উত্তর-পুরুষরূপে কাৰ্ধ করিবে। এইরূপে বাসনার পৌর্বাপর্ব নষ্ট छ्ब्र मां ।
