পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰৌদ্ধধর্মের সহিত হিন্দুধর্মের সম্বন্ধ 曾> বুঝিতে পারেন নাই। ইছীড়যেমন (যীশুর মধ্যে) ওল্ড টেস্টামেন্টের পূর্ণ রিণতি বুঝিতে পারে बोश/বৌদ্ধগণও তেমনি (বুদ্ধের মধ্যে) হিন্দুধর্মের jগুলির পূর্ণ পরিণতি বুঝিতে পারে নাই। আমি পুনর্বার বলিতেছি । ক্যমুনি পূর্ণ করিতে আসিয়াছিলেন, ধ্বংস করিতে নয় ; তিনি ছিলেন ধর্মের স্বাভাবিক পরিণতি ও যুক্তিগত সিদ্ধাস্ত-স্তায়সম্মত বিকাশ। হিন্দুধর্ম দুই ভাগে বিভক্ত-কর্মকাণ্ড ও জ্ঞানকাও ; সন্ন্যাসীরাই নিকাণ্ডের আলোচনা করিয়া থাকেন । ইহাতে জাতিভেদ নাই। ভারতে চ্চতম বর্ণের মানুষও সন্ন্যাসী হইতে পারে, নিম্নতম বর্ণের মানুষও সন্ন্যাসী ইতে পারে, তখন উভয় জাতিই সমান। ধর্মে জাতিভেদ নাই ; জাতিভেদ কবল সামাজিক ব্যবস্থা। শাক্যমুনি স্বয়ং সন্ন্যাসী ছিলেন, এবং তাহার দয় এত উদার ছিল যে লুকানো বেদের মধ্য হইতে সত্যকে বাহির রিয়া তিনি সেগুলি সমগ্র পৃথিবীর লোকের মধ্যে ছড়াইয়া দিলেন— হাই তাহার গৌরব। পৃথিবীতে ধর্মপ্রচারের তিনিই প্রথম প্রবর্তক ; শুধু ই নয়, ধর্মান্তরিত-করণের ভাব তাহারই মনে প্রথম উদিত হইয়াছে। সকলের প্রতি—বিশেষতঃ অজ্ঞান ও দরিদ্রগণের প্রতি অদ্ভূত সহানুভূতিতই তাহার গৌরব প্রতিষ্ঠিত। তাহার কয়েকজন শিষ্য ব্রাহ্মণ ছিলেন। ষে ময়ে বুদ্ধ শিক্ষা দিতেছিলেন, সে সময়ে সংস্কৃত আর ভারতের কথ্য ভাষা ল না। ইহা সে সময়ে পণ্ডিতদের পুস্তকেই দেখা যাইত। বুদ্ধদেবের কান কোন ব্রাহ্মণ শিষ্য র্তাহার উপদেশগুলি সংস্কৃতে অনুবাদ কবিতে চান, নি কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় বলিয়াছিলেন, ‘আমি দরিত্রের জন্য—জনসাধারণের ন্য আসিয়াছি, আমি জনসাধারণের ভাষাতেই কথা বলিব' । আজ পর্যন্ত tহার অধিকাংশ উপদেশ সেই সময়কার চলিত ভাষায় লিখিত । দর্শনশাস্ত্র ও তত্ত্ববিদ্যা যত উচ্চ আসনই গ্রহণ করুক, যতদিন জগতে ত্যু বলিয়া ব্যাপারটি থাকিবে, যতদিন মানবহৃদয়ে দুর্বলতা বলিয়া কিছু কিবে, যতদিন চরম দুর্বলতায় মানুষের মর্মস্থল হইতে রোদনধ্বনি উখিত ইবে, ততদিন ঈশ্বরে বিশ্বাসও থাকিবে। দর্শনশাস্ত্রের দিক দিয়া সেই লোকগুরু বুদ্ধের শিষ্যগণ বেদক্ষপ সনাতন লের অভিমুখে সবেগে পতিত হইলেন, কিন্তু তাহাকে চূর্ণ করিতে পারিলেন