পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিব্রাজক X o o এ স্বয়েজ খালও অতি প্রাচীন জিনিস। প্রাচীন মিসরের ফেরো বাদশাহের সময় কতকগুলি লবণাম্বু জল খাতের স্বারা সংযুক্ত ক’রে উভয়সমুদ্রম্পর্শী এক খাত তৈয়ার হয় । মিসরে রোমরাজ্যের শাসনকালেও মধ্যে মধ্যে ঐ খাত মুক্ত রাখবার চেষ্টা হয়। পরে মুসলমান সেনাপতি অমরু মিসর বিজয় ক’রে ঐ খাতের বালুক উদ্ধার ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বদলে এক প্রকার নূতন ক’রে তোলেন । " - তারপর বড় কেউ কিছু করেননি। তুরস্ক স্বলতানের প্রতিনিধি, মিসর-খেদিব ইম্মায়েল ফরাসীদের পরামর্শে অধিকাংশ ফরাসী অর্থে এই খাত খনন করান। এ খালের মুশকিল হচ্চে যে, মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাবার দরুন পুনঃ পুনঃ বালিতে, ভরে যায়। এই খাতের মধ্যে বড় বাণিজ্য-জাহাজ একখানি একবারে যেতে পারে। শুনেছি যে, অতি বৃহৎ রণতরী বা বাণিজ্যজাহাজ একেবারেই যেতে পারে না । এখন একখানি জাহাজ যাচ্চে আর একখানি আসছে, এ দুয়ের মধ্যে সংঘাত উপস্থিত হ’তে পারে—এই জন্যে সমস্ত খালটি কতকগুলি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এবং প্রত্যেক ভাগের দুই মুখে কতকটা স্থান এমন ভাবে প্রশস্ত করে দেওয়া আছে, যাতে দুই তিনখানি জাহাজ একত্র থাকতে পারে। ভূমধ্যসাগরমুখে প্রধান আফিস, আর প্রত্যেক বিভাগেই রেল স্টেশনের মতো স্টেশন । সেই প্রধান অফিসে জাহাজটি খালে প্রবেশ করবামাত্রই ক্রমাগত তারে খবর যেতে থাকে । কথানি আসছে, কখানি যাচ্চে এবং প্রতি মুহূর্তে তারা কে কোথায়—ত খবর যাচ্চে এবং একটি বড় নকশার উপর চিহ্নিত হচ্চে। একখানির সামনে যদি আর একখানি আসে, এজন্য এক স্টেশনের হুকুম না পেলে আর এক স্টেশন পর্যস্ত জাহাজ যেতে পায় না । এই সুয়েজ খাল ফরাসীদের হাতে। যদিও খাল-কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ার এখন ইংরেজদের, তথাপি সমস্ত কার্য ফরাসীরা করে—এটি রাজনৈতিক মীমাংসা । - ভূমধ্যসাগর এবার ভূমধ্যসাগর। ভারতবর্ষের বাহিরে এমন স্মৃতিপূর্ণ স্থান আর নেই— এশিয়া, আফ্রিকা—প্রাচীন সভ্যতার অবশেষ। একজাতীয় রীতিনীতি খাওয়k