পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য bూ\రి স্বস্বাদ ! নিরামিষাশী হয়েও প্যাজ-লণ্ডনের জন্য ছোক ছোক করবে, দক্ষিণী বামুনের প্যাজ-লণ্ডন নইলে খাওয়াই হবে না। শাস্ত্রকারেরা সে পথও বন্ধ করে দিলেন। প্যাজ, লণ্ডন, গেয়ো শোর, গেয়ে মুরগী খাওয়া এক জাতের [ পক্ষে ] পাপ, সাজা—জাতিনাশ । যারা শুনলে এ কথা তারা ভয়ে প্যাজ-লণ্ডন ছাড়লে, কিন্তু তার চেয়ে বিষমদুর্গন্ধ হিং খেতে আরম্ভ করলে ! পাহাড়ী গোড় হিন্দু লণ্ডনে-ঘাস প্যাজ-লগুনের জায়গায় ধরলে । ও-দুটোর নিষেধ তো আর পুথিতে নেই ! সকল ধর্মেই খাওয়া-দাওয়ার একটা বিধি-নিষেধ আছে ; নাই কেবল ক্রিশচানী ধর্মে। জৈন-বৌদ্ধয় মাছ মাংস খাবেই না । জৈন আবার যা মাটির নীচে জন্মায়, আলু মূলো প্রভৃতি—তাও খাবে না। খুড়তে গেলে পোকা মরবে, রাত্রে খাবে না—অন্ধকারে পাছে পোকা খায় । য়াহুদীরা যে মাছে আঁশ নেই তা খাবে না, শোর খাবে না, যে জানোয়ার দ্বিশফ১ নয় এবং জাবর কাটে না, তাকেও থাবে না। আবার বিষম কথা, দুধ বা দুগ্ধোৎপন্ন কোন জিনিস যদি হেঁশেলে ঢোকে যখন মাছ মাংস রান্না হচ্ছে, তো সে সব ফেলে দিতে হবে । এ বিধায় গোড়া য়াহুদী অন্য কোনও জাতির রান্না খায় না। আবার হিদুর মতে য়াহুদীরা বৃথা-মাংস খায় না। যেমন বাংলা দেশে ও পাঞ্জাবে মাংসের নাম ‘মহাপ্রসাদ । য়াহুদীরা সেই প্রকার ‘মহাপ্রসাদ অর্থাৎ যথানিয়মে বলিদান না হ’লে মাংস খায় না। কাজেই হিন্দুর মতো য়াহুদীদেরও যে-সে দোকান হতে মাংস কেনবার অধিকার নেই। মুসলমানরা য়াহুদীদের অনেক নিয়ম মানে, তবে অত বাড়াবাড়ি করে না ; দুধ, মাছ, মাংস একসঙ্গে খায় না এইমাত্র, ছোয়াছুয়ি হলেই যে সর্বনাশ, অত মানে না। য়াহুদীদের আর হিন্দুদের অনেক সোসাদৃশু—খাওয়া সম্বন্ধে ; তবে য়াহুদীরা বুনো শোরও খায় না, হিন্দুরা খায়। পাঞ্জাবে মুসলমান-হিন্দুর বিষম সংঘাত থাকায়, বুনো শোর আবার হিন্দুদের একটা অত্যাবশ্বক খাওয়া হয়ে দাড়িয়েছে। রাজপুতদের মধ্যে বুনো শোর শিকার ক’রে খাওয়ু একটা ধর্মবিশেষ। দক্ষিণ দেশে ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্যান্য জাতের মধ্যে গেয়ে শোরও ১ খণ্ডিত-খুর * ই দেবতার উদ্দেশে যাহা নিবেদিত লয় ।