পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ケ8 স্বামীজীর বাণী ও রচনা যথেষ্ট চলে। হিন্দুরা বুনো মুরগী খায়, গেয়ো খায় না। বাংলা দেশ থেকে নেপাল ও আকাশ্মীর হিমালয়—এক রকম চালে চলে। মনৃক্ত খাওয়ার প্রথা এই অঞ্চলে সমধিক বিদ্যমান আজও । কিন্তু কুমায়ুন হাতে আরম্ভ ক’রে কাশ্মীর পর্যন্ত—বাঙালী, বেহারী, প্রয়াগী ও নেপালীর চেয়েও মহুর আইনের বিশেষ প্রচার। যেমন বাঙালী মুরগী বা মুরগীর ডিম খায় না, কিন্তু হাসের ডিম খায়, নেপালীও তাই ; কিন্তু কুমায়ূন হ’তে তাও চলে না। কাশ্মীরীরা বুনো হাসের ডিম পেলে মুখে খায়, গ্রাম্য म्भू ! এলাহাবাদের পর হ’তে, হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের অন্য সমস্ত দেশে— যে ছাগল খায়, সে মুরগীও খায়। এই সকল বিধি-নিষেধের মধ্যে অধিকাংশই যে স্বাস্থ্যের জন্য, তার সন্দেহ নেই। তবে সকল জায়গায় সমান পারে না । শোর মুরগী যা তা খায়, অতি অপরিস্কার জানোয়ার, কাজেই নিষেধ ; বুনো জানোয়ার কি খায় কে দেখতে যায় বল। তা ছাড়া রোগ—বুনো জানোয়ারের কম। দুধ-পেটে অম্বাধিক্য হ’লে একেবারে দুষ্পাচ্য, এমন কি একদমে এক মাস দুধ খেয়ে কখন কখন সদ্য মৃত্যু ঘটেছে। দুধ—যেমন শিশুতে মাতৃস্তন্য পান করে, তেমনি ঢোকে ঢেকে খেলে তবে শীঘ্র হজম হয়, নতুবা অনেক দেরি লাগে। দুধ একটা গুরুপাক জিনিস, মাংসের সঙ্গে হজম আরও গুরুপাক, কাজেই এ নিষেধ য়াহুদীদের মধ্যে। মূৰ্খ মাত কচি ছেলেকে জোর ক’রে ঢক ঢক ক’রে দুধ খাওয়ায়, আর দু-ছ মাসের মধ্যে মাথায় হাত দিয়ে কাদে ! এখানকার ডাক্তারের পূর্ণবয়স্কদের জন্যও এক পোয়া দুধ আস্তে আস্তে আধ ঘণ্টায় খাওয়ার বিধি দেন ; কচি ছেলেদের জন্য ফিডিং বটল’ ছাড়া উপায়ান্তর নেই। মা ব্যস্ত কাজে— দাসী একটা ঝিনুকে ক’রে ছেলেটাকে চেপে ধ’রে র্স সা দুধ খাওয়াচ্ছে !! লাভের মধ্যে এই যে, রোগা-পটকাগুলো আর বুড় বড় হচ্ছে না, তারা ঐখানেই জন্মের শোধ দুধ খাচ্ছে ; আর যেগুলো এ বিষম খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে ঠেলে ঠুলে উঠছে, সেগুলো প্রায় সুস্থকায় এবং বলিষ্ঠ । সেকেলে আঁতুড় ঘর, দুধ খাওয়ানো প্রভৃতির হাত থেকে যে ছেলেপিলেগুলো বেঁচে উঠত, সেগুলো এক রকম সুস্থ সবল আজীবন থাকত । মা ষষ্ঠীর