পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৬ স্বামীজীর বাণী ও রচনা অবিবাহিতের ও-বিষয়ে পাশ্চাত্য দেশে বড় দোষের নয় ; বরং বিদ্যার্থী যুবক ও-বিষয়ে একাস্ত বিরত থাকলে অনেক স্থলে তার মা-বাপ দোষাবহ বিবেচন। করে, পাছে ছেলেটা মেনিমুখো' হয়। পুরুষের এক গুণ পাশ্চাত্য দেশে চাই— সাহস ; এদের ‘ভার্চ’ ( virtue ) শব্দ আর আমাদের বীরত্ব একই শব্দ । ঐ শব্দের ইতিহাসেই দেখ, এর কাকে পুরুষের সততা বলে। মেয়েমানুষের পক্ষে সতীত্ব অত্যাবশুক বটে । 1,4' এ সকল কথা বলবার উদ্দেশ্য এই যে, প্রত্যেক জাতির এক-একটা নৈতিক জীবনোদ্দেশ্য আছে, সেইখানটা হ’তে সে জাতির রীতিনীতি বিচার করতে হবে । তাদের চোখে তাদের দেখতে হবে । আমাদের চোখে এদের দেখা, আর এদের চোখে আমাদের দেখা—এ দুই ভুল । আমাদের উদেখ এ বিষয়ে এদের ঠিক উন্টা, আমাদের ব্রহ্মচারী ( বিদ্যার্থী ) শব্দ আর কামজয়িত্ব এক। বিদ্যার্থী আর কামজিৎ একই কথা । আমাদের উদ্দেশু মোক্ষ । ব্রহ্মচর্য বিনা তা কেমনে হয়, বলো ? এদের উদ্দেশ্য ভোগ, ব্রহ্মচর্যের আবগক তত নাই ; তবে স্ত্রীলোকের সতীত্ব নাশ হ’লে ছেলেপিলে জন্মায় না এবং সমগ্র জাতির ধ্বংস । পুরুষ-মানুষে দশ গণ্ডা বে করলে তত ক্ষতি নাই, বরং বংশবৃদ্ধি খুব হয়। স্ত্রীলোকের একটা ছাড়া আর একটা একসঙ্গে চলে না—ফল বন্ধ্যাত্ব। কাজেই সকল দেশে স্ত্রীলোকের সতীত্বের উপর বিশেষ আগ্রহ, পুরুষের বাড়ার ভাগ। প্রকৃতিং যান্তি ভূতানি নিগ্রহ: কিং করিষ্যতি | } 暂 যাক, মোদ এমন শহর আর ভূমণ্ডলে নাই। পূর্বকালে এ শহর ছিল আর একরূপ, ঠিক আমাদের কাশীর বাঙালীটোলার মতো । আঁকাবঁকা গলি রাস্ত, মাঝে মাঝে দুটো বাড়ী এক-করা খিলান, দ্যালের গাঁয়ে পাতকো, ইত্যাদি। এবারকার এগজিবিশনে একটা ছোট পুরানো পারি তৈরি করে দেখিয়েছে। সে পারি কোথায় গেছে, ক্রমিক বদলেছে, এক-একবার লড়াই-বিদ্রোহ হয়েছে, কতক অংশ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে, আবার পরিষ্কার নূতন ফর্দাং পারি সেই স্থানে উঠেছে। ১ গীতা, ৩।৩৩ ২ ফঁাকা