পত্রাবলী v: 5 wog ( স্বামী অখণ্ডানন্দকে লিখিত ) ওঁ নমো ভগবতে রামকৃষ্ণায় গাজীপুর ফেব্রুক্সারি, ১৮৯০ প্রাণাধিকেষু, তোমার পত্র পাইয়া অতি প্রীত হইলাম। তিব্বত সম্বন্ধে যে কথা লিথিয়াছ, তাহা অতি আশাজনক, আমি সে স্থানে যাইবার একবার চেষ্টা করিব, সংস্কৃততে তিব্বতকে ‘উত্তরকুরুবর্ষ কহে—উহা ম্লেচ্ছভূমি মহে । পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষ উচ্চ ভূমি—এজন্য শীত অত্যন্ত, কিন্তু ক্রমে ক্রমে সহিয়া যাইতে পারে। তিব্বতী লোকদিগের আচার-ব্যবহার তুমি তো কিছুই লিখ নাই ; যদি এত আতিথেয়, তবে কেন তোমাকে যাইতে দিল না ? সবিশেষ লিখিবে—সকল কথা খুলিয়া একখান বৃহৎ পত্রে। তুমি আসিতে পরিবে না জানিয়া দুঃখিত হইলাম। তোমাকে দেখিবার বড় ইচ্ছা ছিল । তোমাকে সমধিক ভালবাসি বলিয়া বোধ হয় । যাহাই হউক, এ মায়াও আমি কাটাইবার চেষ্টা করিব । তিব্বতীদের যে তন্ত্রাচারের কথা কহিয়াছ, তাহ বৌদ্ধধর্মের শেষ দশায় ভারতবর্ষেই হইয়াছিল । আমার বিশ্বাস যে, আমাদিগের যে সকল তন্ত্র প্রচলিত আছে বৌদ্ধেরাই তাহার আদিম স্রষ্টী। ঐ সকল তন্ত্র আমাদিগের বামাচারবাদ হইতে আরও ভয়ঙ্কর ( উহাতে ব্যভিচার অতি মাত্রায় প্রশ্রয় পাইয়াছিল ), এবং ঐ প্রকার immorality ( চরিত্রহীনতা ) দ্বারা যখন ( বৌদ্ধগণ ) নিবাঁধ হইল, তখনই [ তাহারা ] কুমারিল ভট্ট দ্বারা দূরীকৃত হইয়াছিল। যে প্রকার সন্ন্যাসীরা শঙ্করকে ও বাউলরা মহাপ্রভুকে secret (গোপনে) স্ত্ৰীসন্তোগী, স্বরাপায়ী ও নানাপ্রকার জঘন্ত আচরণকারী বলে, সেই গ্রকার modern (আধুনিক ) তান্ত্রিক বৌদ্ধের বুদ্ধদেবকে ঘোর বামাচারী বলে এবং প্রজ্ঞাপারমিতো"ত্ত তত্ত্বগাথা প্রভৃতি সুন্দর সুন্দর বাক্যকে কুৎসিত ব্যাখ্যা করে ; ফল এই হইয়াছে যে, এক্ষণে বৌদ্ধদের দুই সম্প্রদায় ; বর্ম ও সিংহলের লোক প্রায় তন্ত্র মানে মা ও সেই সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুর দেবদেবীও দূর করিয়াছে, এবং উত্তরাঞ্চলের বেন্ধের ষে 'অমিতাভ বুদ্ধম্মানে, তাহাকেও ” SJAAAS AAAAAS SeeASA SSASASeeSeAAAS AAAAA eAeS AAAAA AAAA S S AAA AA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS JJSAAA AeeeeegS ee eSeeSeeAe eeeeee AeS eeeeeeAAAA
