পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

參 পত্রাবলী B£\రి উঠে পড়ে লেগে যাও দিকি । গল্প মারা ঘণ্টা নাড়ার কাল গেছে হে বাপু, কার্য করিতে হইবেক। দেখি বাঙালীর ধর্ম কতদূর গড়ায়। নিরঞ্জন লিখছে যে লাটুর গরম কাপড় চাই। এরা গরম কাপড় ইউরোপ আর ইণ্ডিয়া থেকে আনায়। যে দামে এখানে গরম কাপড় কিনব, তার সিকি দামে সেই কাপড় কলকাতায় মিলবে। লাটুর আক্ষেপ শীঘ্রই দূর করিব। কবে ইউরোপ র্যাব জানি না, আমার সকলই অনিশ্চিত—এদেশে এক রকম চলেছে, এই পর্যস্ত । এ বড় মজার দেশ। গরমি পড়েছে—আজ সকালবেলা আমাদের বৈশাখের গরমি, আর এখন এলাহাবাদের মাঘ মাসের শীত ! চার ঘণ্টার ভেতর এত পরিবর্তন ! এখানের হোটেলের কথা কি বলিব ! নিউইয়র্কে এক হোটেল আছেন, যেখানে ৫০ ০০২ টাকা পর্যন্ত রোজ ঘরভাড়া, খাওয়া-দাওয়া ছাড়া । ভোগবিলাসের দেশ ইউরোপেও এমন নাই—এরা হ’ল পৃথিবীর মধ্যে ধনী দেশ–টাকা খোলামকুচির মতো খরচ হয়ে যায়। আমি কদাচ হোটেলে থাকি, আমি প্রায়ই এদের বড় বড় লোকের অতিথি—আমি এদের একজন নামজাদ মানুষ এখন। মুলুক স্বদ্ধ লোকে আমায় জানে, স্বতরাং যেখানে যাই, আগ বাড়িয়ে আমায় ঘরে তুলে নেয়। মিঃ হেল, যার বাড়ীতে চিকাগোয় আমার centre ( কেন্দ্র ), তার স্ত্রীকে আমি ’মা’ বলি, আর তার মেয়েরা আমাকে ‘দাদা’ বলে ; এমন মহা পবিত্র দয়ালু পরিবার আমি তো আর দেখি না। আরে ভাই, তা নইলে কি এদের উপর ভগবানের এত কৃপা ? কি দয়া এদের! যদি খবর পেলে যে, একজন গরীব ফলানা জায়গায় কষ্টে রয়েছে, মেয়েমদে চ’লল—তাকে খাবার, কাপড় দিতে, কাজ জুটিয়ে দিতে আর আমরা কি করি! . এর গরমিকালে বাড়ী ছেড়ে বিদেশে অথবা সমুদ্রের কিনারায় যায়। • আমিও যাব একটা কোন জায়গায়—এখনও ঠিক করি নাই। আর সকল— যেমন ইংরেজদের দেখেছ, তেমনি আর কি। বইপত্র সব আছে বটে, কিন্তু মহা মাগগি, সে দামে ৫ গুণ সেই জিনিস কলকাতায় মেলে অর্থাৎ এরা বিদেশী মাল দেশে আসতে দেবে না। মহা কর বসিয়ে দেয়—কাজেই আগুন হয়ে দাড়ায়। আর এরা বড় একটা কাপড়-চোপড় বানায় না—এর যন্ত্রআওজার আর গম, চাল, তুলা ইত্যাদি তৈয়ার করে-ত সন্তা বটে।”