পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

848 স্বামীজীর বাণী ও রচনা { আমাদের উভয়ের মতামত বিভিন্ন হলেও তাতে কিছু এসে যাবে না—সে একটা বিষয় একভাবে দেখছে, আমি না হয় আর একভাবে দেখছি, এই এক জিনিসকে বিভিন্নভাবে দেখা স্বীকার করে নিলেই তো আমাদের উভয়ের ভাবের এক রকম সমন্বয় হ’ল । সুতরাং বিশ্বাস সে ঘাই কর্ক, তাতে কিছু এসে যায় না--কাজ করুক । বালাজি, জি. জি, কিডি, ডাক্তার ও আমাদের সব বন্ধুকে আমার ভালবাসা জানাবে, আর যে-সকল স্বদেশহিতৈষী মহাত্মা তাদের দেশের জন্য মতবিভিন্নতা গ্রাহ না ক’রে সাহস ও মহদস্তঃকরণের পরিচয় দিয়েছেন, তাদেরও আমার হৃদয়ের অগাধ ভালবাসা জানাবে। একটি ছোটখাট সমিতি প্রতিষ্ঠা কর, তার মুখপত্রস্বরূপ একখানা সাময়িক পত্র বার কর—তুমি তার সম্পাদক হও । কাগজটা বার করবার ও কাজট। আরম্ভ ক’রে দেবার জন্য খুব কম পক্ষে কত খরচা পড়ে, হিসেব ক’রে আমায় জানাবে, আর সমিতিটার নাম ও ঠিকানা জানাবে। আমি তা হ’লে তার জন্যে টাকা পাঠাব —শুধু তাই নয়, আমেরিকার আরও অনেককে ধরে র্তারা যাতে বছরে মোট চাদা দেন, তা করব । কলকাতায়ও ঐ রকম করতে বলে । আমাকে ব—র ঠিকানা পাঠাবে। সে বেশ ভাল ও মহৎ লোক। সে আমাদের সঙ্গে মিশে বেশ স্বন্দর কাজ করবে । তোমাকে সমস্ত জিনিসটার ভার নিতে হবে, সরদার হিসাবে নয়, সেবকভাবে—বুঝলে ? এতটুকু কর্তৃত্বের ভাব দেখালে লোকের মনে ঈর্ষার ভাব জেগে উঠবে—তাতে সব মাটি হয়ে যাবে। যে যা বলে, তাইতে সায় দিয়ে যাও ; কেবল চেষ্টা কর—আমার সব বন্ধুদের একসঙ্গে জড়ো ক’রে রাখতে। বুঝলে ? আর আস্তে আস্তে কাজ করে তার উন্নতির চেষ্টা কর। জি. জি • ও অন্যান্য যাদের এখনই রোজগার করবার প্রয়োজন নেই, তারা এখন যেমন করছে তেমনি ক’রে যাক অর্থাৎ চারিদিকে ভাব ছড়াক। জি. জি. মহীশূরে বেশ কাজ করছে। এই রকমই তো করতে হবে। মহীশূর কালে আমাদের একটা বড় আডডা হয়ে দাড়াবে। আমি এখন আমার ভাবগুলি পুস্তকাকারে লিপিবদ্ধ করব ভাবছি— তারপর আগামী শীতে সারা দেশটা ঘুরে সমিতি স্থাপন ক’রব। এ একটা মস্ত কার্ধক্ষেত্র, আর এখানে যত কাজ হতে থাকবে, ততই ইংলও এই ভাৰ