পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রাবলী " 8ፃፈt গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হবে । হে বীরহাদয় বৎস, এতদিন পর্যন্ত বেশ কাজ করেছ। প্ৰভু তোমাদের ভেতর সব শক্তি দিবেন। আমার হাতে এখন ৯০০০ টাকা আছে—তার কতকটা ভারতের কাজ আরম্ভ ক’রে দেবার জন্য পাঠাব, আর এখানে অনেককে ধরে তাদের দিয়ে বাৎসরিক ও যাশ্মাসিক বা মাসিক হিসাবে টীকাকড়ি পাঠাবার বন্দোবস্ত করব। এখন তুমি সমিতিটা খুলে ফেল ও কাগজটা বের করে দাও এবং আর আর আনুষঙ্গিক যা আবশ্বক, তার তোড়জোড় কর । এ ব্যাপারটা খুব অল্প লোকের ভেতর গোপন রেখে ; সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু মাদ্রাজে একটা মন্দির করবার জন্য মহীশূর ও অন্যান্ত স্থান থেকে টাকা তোলবার চেষ্টা কর—তাতে একটা পুস্তকালয় থাকবে, আফিস ও ধর্মপ্রচারকদের অর্থাৎ যদি কোন সন্ন্যাসী বা বৈরাগী এসে পড়ে, তাদের জন্য কয়েকটা ঘর থাকবে । এইরূপে আমর! ধীরে ধীরে কাজে অগ্রসর হবো । সদা স্নেহাবদ্ধ বিবেকানন্দ পুঃ—তুমি তো জান টাকা রাখা—এমন কি, টাকা ছোয়া পর্যন্ত আমার পক্ষে বড় মুশকিল। উহা অামার পক্ষে বেজায় বিরক্তিকর আর ওতে মনকে বড় নীচু ক’রে দেয়। সেই কারণে কাজের দিকটা এবং টাকাকড়ি-সংক্রান্ত ব্যাপারটার বন্দোবস্ত করবার জন্য তোমাদিগকে সংঘবদ্ধ হয়ে একটা সমিতি স্থাপন করতেই হবে। এধানে আমার যে-সব বন্ধু আছেন, তারাই আমার সব টাকাকড়ির বন্দোবস্ত ক’রে থাকেন—বুঝলে ? এই ভয়ানক টাকাকড়ির হাঙ্গামা থেকে রেহাই পেলে হাফ ছেড়ে বঁচিব। মুতরাং যত শীঘ্র তোমরা সংঘবদ্ধ হতে পারে এবং তুমি সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ হয়ে আমার বন্ধু ও সহায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎভাবে পত্রাদি ব্যবহার করতে পারো, ততই তোমাদের ও আমার উভয় পক্ষের মঙ্গল । এইটি শীগগির ক’রে ফেলে আমাকে লেখে। সমিতির একটা অসাম্প্রদায়িক নাম দিও—আমার মনে হচ্ছে ‘প্রবুদ্ধ ভারত' নামটা হ’লে মন্দ হয় না। ঐ নামটা দিলে তাতে হিন্দুদের মনে কোন আঘাত না দিয়ে বৌদ্ধদেরও আমাদের দিকে আকৃষ্ট করবে। প্রবুদ্ধ’ শৰটার ধ্বনিতেই (প্র+বুদ্ধ’) বুদ্ধের অর্থাৎ গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে-ভারত জুড়লে হিন্দুধর্মের সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের সম্মিলন বোঝাতে পারে। বাই হোক,