পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাববার কথা ( ; ) ঠাকুর-দর্শনে এক ব্যক্তি আসিয়া উপস্থিত। দৰ্শন-লাভে তাহার যথেষ্ট প্রতি ও ভক্তির উদয় হইল। তখন সে বুঝি আদানপ্রদান-সামঞ্জস্য করিবার জন্য গীত আরম্ভ করিল। দালানের এক কোণে থাম হেলান দিয়া চোবেজী বিমাইতেছিলেন। চোবেজী মন্দিরের পূজারী, পহলওয়ান, সেতারী—দুই লোটা ভাঙ দুবেল উদরস্থ করিতে বিশেষ পটু এবং অন্যান্য আরও অনেক সদগুণশালী । সহসা একটা বিকট নিনাদ চোবেজীর কর্ণপটহ প্রবলবেগে ভেদ করিতে উদ্যত হওয়ায় সম্বিদা-সমৃৎপন্ন বিচিত্র জগং ক্ষণকালের জন্য চোবেজীর বিয়াল্লিশ ইঞ্চি বিশাল বক্ষস্থলে উখায় হৃদি লীয়ন্তে হইল। তরুণ-অরুণ-কিরণবর্ণ ঢুলু ঢুলু দুটি নয়ন ইতস্ততঃ বিক্ষেপ করিয়া মনশ্চাঞ্চল্যের কারণানুসন্ধায়ী চোবেজী আবিষ্কার করিলেন যে, এক ব্যক্তি ঠাকুরজীর সামনে আপনভাবে আপনি বিভোর হইয়া কৰ্মবাড়ীর কড়া-মাজার ন্যায় মর্মস্পর্শী স্বরে নারদ, ভরত, হনুমান, নায়ক-কলাবতগুষ্টির সপিণ্ডীকরণ করিতেছে। সম্বিদানন্দউপভোগের প্রত্যক্ষ বিপ্লস্বরূপ পুরুষকে মর্মাহত চোবেজী তীব্রবিরক্তিব্যঞ্জকস্বরে জিজ্ঞাস করিতেছেন—বলি বাপু হে, ও বেস্থর বেতাল কি চীংকার ক’রছ!’ ক্ষিপ্র উত্তর এল—‘স্থর-তানের আমার আবশ্যক কি হে ? আমি ঠাকুরজীর মন ভিজুচ্চি। চোবেজী—‘ছ, ঠাকুরজী এমনই আহাম্মক কি না ! পাগল তুই, আমাকেই ভিজুতে পারিস নি, ঠাকুর কি আমার চেয়েও বেশী মুখ ? * * ভগবান অর্জুনকে বলেছেন ; তুমি আমার শরণ লও, আর কিছু করবার দরকার নাই, আমি তোমায় উদ্ধার করব । ভোলাচাদ তাই লোকের কাছে শুনে মহাখুশী ; থেকে থেকে বিকট চীৎকার ; আমি প্রভুর শরণাগত, আমার আবার ভয় কি ? আমায় কি আর কিছু করতে হবে ? ভোলাচাদের ধারণা —ঐ কথাগুলি খুব বিটকেল আওয়াজে বারংবার বলতে পারলেই যথেষ্ট ভক্তি