পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা مخ 8. ব্যাখ্যা করতে তিনি অদ্বিতীয় । আবার প্রমাণ-প্রয়োগ—সে তো বালকেও বুঝতে পারে, তিনি এমনি সোজা ক’রে দিয়েছেন। বলি, ভারতবর্ষ ছাড়া অন্যত্র ধর্ম হয় না, ভারতের মধ্যে ব্রাহ্মণ ছাড়া ধর্ম বুঝবার আর কেউ অধিকারীই নয়, ব্রাহ্মণের মধ্যে আবার কৃষ্ণব্যালগুষ্টি ছাড়া বাকী সব কিছুই নয়, আবার কৃষ্ণব্যালদের মধ্যে গুড়গুড়ে !! . অতএব গুড়গুড়ে কৃষ্ণব্যাল যা বলেন? তাহাই স্বতঃপ্রমাণ । মেলা লেখাপড়ার চর্চা হচ্ছে, লোকগুলো একটু চমচমে হয়ে উঠছে, সকল জিনিস বুঝতে চায়, চাকতে চায়, তাই কৃষ্ণব্যাল মহাশয় সকলকে আশ্বাস দিচ্ছেন যে, মাভৈঃ, যে-সকল মুস্কিল মনের মধ্যে উপস্থিত হচ্ছে, আমি তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করছি, তোমরা যেমন ছিলে তেমনি থাক । নাকে সরষের তেল দিয়ে খুব ঘুমোও । কেবল আমার বিদায়ের কথাটা ভুলো না । লোকেরা বললে—বাচলুম, কি বিপদই এসেছিল বাপু ! উঠে বসতে হবে, চলতে ফিরতে হবে, কি আপদ!! ‘বেঁচে থাক্ কৃষ্ণব্যাল’ ব’লে আবার পাশ ফিরে শুলো । হাজার বছরের অভ্যাস কি ছোটে ? শরীর করতে দেবে কেন ? হাজারো বৎসরের মনের গাট কি কাটে ! তাই না কুঞ্চব্যালদলের আদর । "ভল বাবা “অভ্যাস” অস মারো ইত্যাদি ।