পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাববার কথা 8 & সনাতন হিন্দুধর্মের গগনস্পর্শী মন্দির–সে মন্দিরে নিয়ে যাবার রাস্তাই বা কত । আর সেথা নাই বা কি ? বেদান্তীর নি গুণ ব্রহ্ম হ’তে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, শিব, শক্তি, স্থযিামামা, ইদুরচড়া গণেশ, আর কুচোদেবতা ষষ্ঠী, মাকাল প্রভৃতি,–নাই কি ? আর বেদ-বেদাস্ত দর্শন পুরাণ তন্ত্রে তো ঢের মাল আছে, যার এক-একটা কুথায় ভববন্ধন টুটে যায়। আর লোকেরই বা ভিড় কি, তেত্রিশ কোটি লোক সে দিকে দৌড়েছে। আমারও কৌতুহল হ’ল, আমিও ছুটপুম। কিন্তু গিয়ে দেখি, এ কি কাণ্ড ! মন্দিরের মধ্যে কেউ যাচ্ছে না, দোরের পাশে একটা পঞ্চাশ মুণ্ডু, একশত হাত, দু-শ পেট, পাচ-শ ঠ্যাঙওয়াল মূর্তি খাড়া ! সেইটার পায়ের তলায় সকলেই গড়াগড়ি দিচ্ছে। একজনকে কারণ, জিজ্ঞাসা করায় উত্তর পেলুম যে, ওই ভেতরে যে-সকল ঠাকুরদেবতা, ওদের দূর থেকে একটা গড় বা দুটি ফুল ছুড়ে ফেললেই যথেষ্ট পূজা হয়। আসল পূজা কিন্তু এর করা চাই—যিনি দ্বারদেশে ; আর ঐ যে বেদ-বেদান্ত, দর্শন, পুরাণ–শাস্ত্ৰসকল দেখছ, ও মধ্যে মধ্যে শুনলে হানি নাই, কিন্তু পালতে হবে এর হুকুম । তখন আবার জিজ্ঞাসা করলুম—তবে এ দেবদেবের নাম কি ? উত্তর এল-এর নাম “লোকাচার’ । আমার লক্ষ্মেণএর ঠাকুরসাহেবের কথা মনে পড়ে গেল : ‘ভল বাবা “লোকাচার” অস মারো ইত্যাদি । গুড় গুড়ে কৃষ্ণবাল ভট্টাচার্য—মহাপণ্ডিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের খবর র্তার নখদর্পণে । শরীরটি অস্থিচর্মসার ; বন্ধুরা বলে তপস্যার দাপটে, শত্রুরা বলে অন্নাভাবে ! আবার* দুষ্টেরা বলে, বছরে দেড়কুড়ি ছেলে হ’লে ঐ রকম চেহারাই হ’য়ে থাকে । যাই হোক, কৃষ্ণব্যাল মহাশয় না জানেন এমন, জিনিসটিই নাই, বিশেষ টিকি হ’তে আরম্ভ ক’রে নবদ্বার পর্যন্ত বিদ্যুৎপ্রবাহ ও চৌম্বকশক্তির গতাগতিবিষয়ে তিনি সর্বজ্ঞ। আর এ রহস্যজ্ঞান থাকার দরুন দুর্গাপূজার বেশ্ৰাদ্বার-স্মৃত্তিক হ’তে • মায় কাদা, পুনর্বিবাহ , দশ বৎসরের কুমারীর গর্ভাধান পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের বৈজ্ঞানিক ১ দ্বিারাগমন ।