পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা 8 ميv যেন লক্ষ লক্ষ চামরের মতো হেলছে, তার নীচে ফিকে ঘন ঈষৎ পীতাভ, একটু কালো মেশানো—ইত্যাদি হরেক রকম সবুজের কঁাড়ি ঢালা আবনিচুজাম-কাটাল—পাতাই পাতা—গাছ ডাল পালা আর দেখা যাচ্চে না, আশে পাশে ঝাড় ঝাড় বঁাশ হেলছে, দুলছে, আর সকলের নীচে—যার কাছে ইয়ারকাদি ইরানী তুর্কিস্তানি গালচে-জুলচে কোথাও হার মেনে যায়! সেই ঘাস, যতদূর চাও—সেই খাম-খাম ঘাস, কে যেন ছেটে ছুটে ঠিক ক’রে রেখেছে ; জলের কিনারা পর্যন্ত সেই ঘাস ; গঙ্গার মৃদুমন্দ হিল্লোল যে অবধি জমিকে ঢেকেছে, যে অবধি অল্প অল্প লীলাময় ধাক্কা দিচ্চে, সে অবধি ঘাসে আঁটা । আবার তার নীচে অামাদের গঙ্গাজল। আবার পায়ের নীচে থেকে দেখ, ক্রমে উপরে যাও, উপর উপর মাথার উপর পর্যন্ত, একটি রেখার মধ্যে এত রঙের খেলা ! একটি রঙে এত রকমারি, আর কোথাও দেখেছ ? বলি, রঙের নেশা ধরেছে কখন কি—যে রঙের নেশায় পতঙ্গ আগুনে পুড়ে মরে, মৌমাছি ফুলের গারদে অনাহারে মরে ? হু, বলি—এই বেলা এ গঙ্গা-মা'র শোভা যা দেখবার দেখে নাও, আর বড় একটা কিছু থাকছে না। দৈত্য-দানবের হাতে পড়ে এ সব যাবে। ঐ ঘাসের জায়গায় উঠবেন—ইটের পাজ, আর নাববেন ইট-খোলার গর্তকুল । যেখানে গঙ্গার ছোট ছোট ঢেউগুলি ঘাসের সঙ্গে খেলা করছে, সেখানে দাড়াবেন পাট-বোঝাই ফ্ল্যাট, আর সেই গাধাবোট ; আর ঐ তাল-তমাল-জাব নিচুর রঙ, ঐ নীল আকাশ, মেঘের বাহার-ওসব কি আর দেখতে পাবে ? দেখবে—পাথুরে কয়লার ধোঁয়! আর তার মাঝে মাঝে ভূতের মতো অস্পষ্ট দাড়িয়ে আছেন কলের চিমনি ! ! ! বঙ্গোপসাগরে এইবার জাহাজ সমুদ্রে প’ড়ল। ঐ যে ‘দূরাদয়শ্চক্র ফক্র ‘তমালতালীবনরাজি’ ইত্যাদি ওসব কিছু কাজের কথা নয়। মহাকবিকে নমস্কার ১ দূরায়শ্চক্রনিভস্ত তথ্বী তমালতালীবনরাজিনীল । to আভাতি বেল লবণামুরাশেধারানিবন্ধেব কলঙ্করেখা —রঘুবংশ