পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা। ঘণ্টা পরে স্বামিজী গৃহের বাহিরে আসিলেন এবং মুখাদি প্ৰক্ষালিত করিয়া ধীর-পদবিক্ষেপে বন্ধুবর্গের নিকট আসিয়া বসিলেন। মূৰ্ত্তি প্ৰশান্ত ও গম্ভীর। সকলেই তঁহার মুখ নিরীক্ষণ করিয়া বুঝিলেন তাহার হৃদয়তটে একটি বিষম ঝটিকা প্ৰবাহিত হকীয়া গিয়াছে। কারণ তখনও মিগ্ধোজ্জল ললাট ও জ্যোতিৰ্ম্ময বদনমণ্ডল ভাবাবেগে আরক্তিম রহিয়াছে। কিয়ৎক্ষণ কাহারও বাক্য নিঃসরণ হইল না। অবশেষে স্বামিজী নিস্তব্ধতা "ভঙ্গ করিয়া বলিলেন “মানুষের প্রাণ যখন ভক্তিতে ভরিা উঠে, তখন তার হৃদয়ও স্বায়ু সকল এত নরম হল যে তাতে ফুলের ঘা পৰ্য্যস্তুসহ হয়। না। তোমরা কি জানো যে আজ কাল আমি উপন্যাসের প্ৰেমকাহিনী পৰ্য্যন্ত পড়তে পারি না ? ঠাকুরের কথা খানিকক্ষণ বলতে বা ভাবতে গেলেই ভাবোম্বেল না হয়ে থাকুতে পারি না ? সেই জন্য কেবলই এই ভক্তিস্রোতটা চেপে যাবার চেষ্টা করি, আর জ্ঞানের শেকল দিয়ে নিজেকে বাঁধতে চাই, কারণ এখনও মাতৃভূমির প্রতি আমার কৰ্ত্তব্য শেষ হয়নি। সেই জন্যে যেই দেখি উদাম ভক্তিপ্রবাহে প্ৰাণটা ভেসে যাবার উপক্রম হয়েছে, আমনি তার মাথায্য কঠোর জ্ঞানের অঙ্কুশ দিয়ে আঘাত কত্তে থাকি । ওঃ এখনও আমার অনেক কাজ বাকি রয়েছে ; আমি শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের দাসানুদাস, তিনি আমার ঘাড়ে যে কাজ চাপিয়ে গেছেন যতদিন না সে কাজ শেষ হয় ততদিন আমার বিশ্ৰাম নেই। বাস্তবিক আমার ওপর তঁর কি ভালবাসাই-” } ዓቝድ &