পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । মানুষকে দুৰ্বল করে মাত্র, তা বুঝাচোন। যাও, কে তোমার রামকৃষ্ণকে চায় ? কে তোমার ভক্তি মুক্তি চায় ? দেখতে চায় তোমার শাস্ত্ৰ কি বলছে ? যদি আমি আমার দেশের লোককে তমোকূপ থেকে তুলে মানুষ ক’রে গড়তে পারি, যদি তাদের ভেতর কৰ্ম্মযোগের আদর্শ জাগিয়ে তুলতে পারি তাহ’লে আমি হাসতে হাসতে সহস্ৰ নরকে পেতে রাজী আছি। আমি রামকৃষ্ণ টামকৃষ্ণ কারুর কথা শুনতে চাইনি। যে আমার মতলব অনুসারে কাজ কািস্ততে চাষ তারই কথা শুনবো। আমি রামকৃষ্ণ কি কারুরস্ট দাস নাই—শুধু যে নিজের ভক্তি বা মুক্তি গ্রাহ না ক’রে পরের সেবা করতে প্ৰস্তুত তারই দাস।” বলিতে বলিতে র্তাহার মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ ও চন্ধু প্ৰদীপ্ত হইয়া উঠিল, স্বরবদ্ধ হইবার উপক্রম হইল এবং সমস্ত শরীর ঘন ঘন কম্পিত হইতে লাগিল। তিনি বিদ্যুদ্বেগে ঘরের বাহিরে গিয়া বিশ্রামগৃহে প্ৰবেশ করিলেন এবং দ্বারবন্ধ করিষা দিলেন। তঁহার গুরুভ্রাতারা ইহা অবলোকন করিষা অত্যন্ত ত্ৰস্ত হইলেন এবং তঁহার নিকট উপরোক্ত প্ৰসঙ্গ উত্থাপন করিয়াছিলেন বলিয়া অনুতপ্ত হইলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে কয়েকজন সাহস অবলম্বন করিয়া অতি সন্তপণে তাহার কক্ষাভিমুখে অগ্রসর হইয়া দেখিলেন স্বামিজী নিশ্চলভাৱে যোগাসনে উপবিষ্ট আর র্তাহার স্তিমিত চক্ষু হইতে দীরবিগলিত ধারায় অশ্রু নিৰ্গত হইতেছে। দেখিয়া বেশ বোধ হইল তিনি তখন ভাব রাজ্যে। তাহারা স্থিরভাবে দণ্ডায৯ • • স্থলেন। কিন্তু কেহ তঁহার ভাবভঙ্গ করিতে সাহসী হইলেন । প্ৰায় এব ዓ88