পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্তসঙ্গে । স্বামিজীী যে কয়দিবস কলিকাতায় রহিলেন সে কযদিবস ‘তাঁহার আর বিশ্রামের অবকাশ ছিল না। দিনরাতই লোক যাতায়াত করিতেছে, দিনরাতই কথাবাৰ্ত্তা চলিতেছে। বলরামবাবুর বাটীতে প্ৰায় নিত্যই এইৰূপ আসর জমিত, তা” ছাড়া আবার অনেকে পৃথক ভাবে তঁহাকে স্ব স্ব গৃহে লাইযা গিয়াও সৎসঙ্গ করিতেন। এই উপাযে ধীরে ধীরে লোকশিক্ষার পথ প্রশস্ত হইতে লাগিল। কত বিষযের যে আলোচনা হইত। তাহার ইয়ত্ত ছিল না। ধৰ্ম্ম, সমাজ, শিক্ষা, দীক্ষা, বিভিন্ন দেশের রীতিনীতি, বিভিন্ন সমষের ঐতিহাসিক কাহিনী প্ৰভৃতি নানাবিধ প্ৰসঙ্গ উত্থাপিত হইত। বলিতে বলিতে র্তাহার উৎসাহ-বিস্ফারিত নয়নযুগলে অপূৰ্ব্ব তেজ ফুটিয়া উঠিত, শ্রোতৃবৰ্গ স্তব্ধ হইয় তাহ নিরীক্ষণ করিতেন। বস্তুতঃ তাহার ভিতরে এমন অদ্ভুত উৎসাহ ছিল এবং সেই উৎসাহ তাহার মুখের প্রত্যেক কথায় এমন প্ৰবল তেজের সহিত প্ৰকাশ পাইত যে শ্রোতৃবৃন্দ তাহার প্রভাব অতিক্রম *রিতে পারিতেন না। তিনি যখন যে বিষয়ের অবতারণা করিতেন তখন তাহাতেই মাতিয়া উঠিতেন, মনে হইত বুঝি জগতে উহা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। আর কিছু নাই। ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ বর্ণনকালে, তাহার আবেগময়ী ভাষার ቁጽb”