পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্তসঙ্গে । শ্ৰোতৃমণ্ডলীর হৃদয়দ্বারে আঘাত করিয়া ফিরিত তাহার সম্পূর্ণ বিবরণ কেমন করিয়া দিব ! তিনি শয়নে, ভোজনে, গমনে, উপবেশনে, দণ্ডায়মানাবস্থায় সৰ্ব্বদা লোককে উপদেশ দিতেন, সৰ্ব্বদা তাহাদিগকে শ্ৰদ্ধা ও বীৰ্য্য অবলম্বনপূর্বক, আত্মকর্তৃত্যু সাধনের পথে অগ্রসর হইতে পরামর্শ দিতেন। As ته স্বামিশিষ্য-সংবাদ প্ৰণেতা শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় লিখিয়াছেন যে, এই সময়ে একদিন তিনি স্বামিজীর নিকট সায়নের ভাষ্যসমেত বেদ পাঠ করিতেছিলেন। সায়নাচাৰ্য্য । বেদের অপৌরুষেয়ত্ব প্ৰমাণের জন্য যে সকল যুক্তি প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন সেগুলি কিরূপ গভীর চিন্তাসমূদ্ভুত তাহা স্বামিজী বুঝাইতেছিলেন আর সায়নের প্রশংসা করিতেছিলেন। স্থানে স্থানে আবার স্বয়ং অন্যরূপ ব্যাখ্যা করিয়া সায়নকৃত ব্যাখ্যার সমালোচনা করিতেছিলেন। কথাপ্রসঙ্গে মোক্ষমূলরের কথা উঠিল। স্বামিজী বলিলেন “আমার বিশ্বাস স্বয়ং সায়ন মোক্ষমূলর রূপে অবতীর্ণ হইয়াছেন। র্তাহাকে দেখিয়া অবধি আমার এ বিশ্বাস দৃঢ় হইয়াছে। কি অদ্ভুত অধ্যবসায়, আর বেদ বেদান্তাদি শাস্ত্ৰে কি অসাধারণ পারদর্শিতা ! অক্সফোর্ডে বৃদ্ধ ও তােহর পত্নীকে দেখিয়া আমার বশিষ্ঠ অরুন্ধতীর কথা মনে পড়িয়াছিল। আর বিদায়কালে বৃদ্ধের যে অশ্রুপাত ৷” শরৎবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “আচ্ছা, তাহাই যদি হয়, তবে সায়ন এই পুণ্যক্ষেত্র ভারতবর্ষে ব্ৰাহ্মণবংশে জন্মগ্রহণ না করিয়া ম্লেচ্ছকুলে জন্মগ্রহণ করিলেন কেন ? তদুত্তরে %9ş