পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলাম্বর বাবুর বাগানে। সকলেই স্বামিজীর কথা শুনিয়া হাস্য করিতে লাগিল। এইবায় বিভূতিভূষাঙ্গ স্বামিজী সাক্ষাৎ মহাদেবের ন্যায় পূজকের আসনে বসিয়া ঠাকুরকে আবাহন করিতে লাগিলেন। স্বামী প্ৰকাশানন্দ স্বামিজীর কাছে বসিয়া মন্ত্রাদি বলিয়া দিতে লাগিলেন। পূজার নানা অঙ্গ ক্ৰমে সমাধা হইল এবং নীরাজনের শাক ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল। স্বামী প্ৰকাশানন্দই উহা সম্পাদনা করিলেন। নীরাজনান্তে স্বামিজী পূজার ঘরে বসিয়া বসিয়াই শ্ৰীরামকৃষ্ণ দেবের প্রণতিমন্ত্র মুখে মুখে এইরূপ রচনা করিয়াছিলেন “স্থাপকায় চ ধৰ্ম্মস্ত সৰ্ব্বধৰ্ম্মস্বরূপিণে । অবতার বরিষ্ঠায় রামকৃষ্ণায় তে নমঃ ॥” wa সকলেই এই মন্ত্র পাঠ করিয়া ঠাকুরকে প্ৰণাম করিলে একটি স্তোত্ৰ আবৃত্তি করিয়া পূজা সম্পন্ন করা হইল। এই বৎসরের প্রারম্ভেই বেলুড়ে গঙ্গাতীরে বহু সহস্ৰ মুদ্রাব্যয়ে প্রায় ৪৫ বিঘা জমি ক্রয় করা হয়। উহার উপন্ধ স্বামিজীর এক ভূক্ত ইহার অধিকাংশ ব্যয়ভার বহন করিয়াছিলেন। বহুবৎসর পূর্বে স্বামিজী একদিন গঙ্গার অপর তীরে দণ্ডায়মান হুইয়া বলিয়াছিলেন, “যেন মনে হচ্ছে, নদীর আয় পারে কাছাকাছি কোথাও আমাদের স্থায়ী মঠ হবে।” এতদিম পরে এই কথা স্বার্থক হইতে চলিল। কিন্তু যদিও ১৮৯৮ সালে জমী। খরিদ হয়, তথাপি ১৮৯৯ সালের জানুয়ারীর পূর্বে এস্থানে নৌকা বাধা হইত বলিয়া চতুর্দিকের ভূমি খাল বিল পরিপূর্ণ rʻoSE) R