পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । অপূৰ্ব্ব প্রভাব ও বুদ্ধি কৌশলের প্রশংসা না করিয়া থাকা যায় না। বাস্তবিক স্বামিজী যদি আর কিছুই না করিয়া যাইতেন তাহা হইলেও ভারতবর্ষকে যে নিবেদিতার ন্যায় তাহার স্বতস্ত গঠিত একটি অপরূপ ফল প্ৰদান করিয়া যাইতে পারিষাছিলেন ইহাতেই ভারতের লোক তঁাহার প্রতি কৃতজ্ঞ হইবার যথেষ্ট কারণ খুজিয়া পাইত। কারণ নিবেদিতাকে শুধু স্বামিজীর একটি মাত্ৰ শিষ্যৰূপে দেখিলে চলিবে না। এক নিবেদিতা সহস্ৰ শিষ্যের সমান কাজ করিয়া গিযাছেন । দেবোপম চরিত্র, অদ্ভুত গুৰুভক্তি ও তিতিক্ষী, অসাধারণ ধীশক্তি ও কাৰ্য্যকারিতা এবং সব্বোপরি এক অপূৰ্ব্ব শক্তিশালী লেখনী তঁহাকে আশ্ৰয করিয়া বহু দিকে ব্যাপ্ত হই যাছিল । স্বামিজীৱ বাণীর সব্বাপেক্ষা গভীর পাণ্ডিত্যপূৰ্ণ-ব্যাখ্যা তাহার দ্বারাই শুধু পাশ্চাত্য জাতিসমূহের মধ্যে নহে, জগতের সর্বত্র ব্যক্তি হইয়াছে, এমন কি ভারতেও ইহা জাতীযভােব উন্মেষণে কম সাহায্য করে নাই । নাইনিতালে এই সময়ে খেতড়ির রাজা অবস্থান করিতে ছিলেন। স্বামিজীৱ সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইলে তিনি তঁহার ইউরোপীয় শিষ্যগণের সহিত রাজার পরিচযা করিয়া দিলেন। এইখানে একটি মুসলমান ভদ্রলোক (টনি মনে মনে অদ্বৈতবাদী ছিলেন ) স্বামিজীর দর্শনে ও তাহার আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয় পাইয়া বলিয়াছিলেন “স্বামিজী, যদি ভবিষ্যতে কেহ কখনও আপনাকে অবতার বলিয়া দাবী করে তাহা হইলে মনে রাখিবেন আপনার এই মুসলমান ክyö ክy