পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাইনিতালে । আমরা কোন গ্রামের ভিতর দিয়া যাইবার সময় তিনি আমাদিগকে হিন্দু পরিবারগুলির বিশেষত্বসূচক দ্বারদেশের উপরিভাগে দোদুল্যমান গাদ্দাফুলের মালাগুলি দেখাইয়া দিতেন। আবার ভারতবাসিগণ “সুন্দর” বলিষা যাহার আদর করেন, গায়ের সেই ‘কষিতকাঞ্চন” বর্ণের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করিতেন-ইউরোপীযদিগের আদর্শস্থল যে ঈষৎ রক্তাভ শ্বেত, তাহা হইতে উহা কত বিভিন্ন ! আমাদিগকে সঙ্গে লইয়া টঙ্গাযোগে যাইবার সময় তিনি অন্য সব ভুলিয়া অক্লান্তভাবে শিবমাহাত্ম্য বর্ণনেই মগ্ন হইয়া যাইতেন। মহাদেবের লোক সমাগম হইতে অতিদূরে পাৰ্ব্বতশীর্ষে মৌনভাবে অবস্থিতি, তাহার মানবের নিকটে কেবল নিঃসঙ্গত্ব যন্ত্রী এবং এক অনন্ত ধ্যানে তস্ময় তইয়া থাকা-এই সকল বিষয় বর্ণিত হইত। * * ** মনস্বিনী নিবেদিতা পাশ্চাত্যািমনের একটা শ্রেষ্ঠ আদর্শ-সে মনে পাশ্চাত্যভাবসমষ্টি পূর্ণমাত্রায় বিরাজিত এবং প্রত্যেক ভাবটী সুপরিপুষ্ট ও সুদৃঢ় ভাবে অঙ্কিত। সেই মনের জাতিগত বৈশিষ্ট্য অপনোদন করিয়া তৎপরিবর্তে ভারতীয় ভাবের মুদ্রণ-প্ৰয়াস স্বামিজীর পক্ষে যে কিরূপ কঠিন কাৰ্য্য হইয়াছিল। তাহা নিবেদিতার নিজ লিখিত বিবরণেই প্ৰকাশ। আমরা এখানে আর তাহার বিস্তৃত আলোচনা করিয়া গ্রন্থের কলেবর বৃদ্ধি করিব না। তবে কেমন করিয়া একের অদম্য মানসিক শক্তি ও সংস্কার নিচয় অপরের প্রতিভাবলে ধীরে ধীরে আপনার স্বাভাবিক জন্মগত ভােব পরিত্যাগ করিয়া শিক্ষাপ্রভাবে সম্পূর্ণরূপে পরিভাব আয়ত্ত করিতে সমর্থ হইল। তাহা ভাবিতে গেলে শিক্ষকের եՀh