পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । স্বামিজীর বিশেষ আলাপ হইল। একদিন তিনি তঁহাদিগকে প্ৰথিতযশা রাজা রামমোহন রায়ের কথা বলিতে বলিতে তাহার দূরদর্শিতা ও উদার ভাবের প্রশংসা করিতে লাগিলেন, আর ওজস্বিনী ভাষায় সেই মহদাশয় লোকশিক্ষকের তিনটী ভাবের প্রতি পুনঃ পুনঃ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে লাগিলেন ; ( ১ ) তিঁাহার বেদান্ত পক্ষপাতিত্ব (২) স্বদেশ-পরামণত এবং (৩) হিন্দু ও মুসলমানের প্রতি সমান প্ৰেম। পাঠক দেখিবেন * স্বামিজীর নিজ চরিত্রেরও এই তিনটাই বিশেষত্ব। ধৰ্ম্মসম্বন্ধে পাশ্চাত্য জনসাধারণের অজ্ঞতা কিৰূপ ভয়ানক তাহার উদাহরণ দিতে গিয স্বামিজী নিম্নলিখিত হাম্ভোব্দীপক গল্পটী বলিযাছিলেন। এক বিশপ একদিন এক কয়লার খনিতে গিয়াছিলেন। সেখানে কুলি মজুরদের সমক্ষে তিনি একটা বক্তৃতা দিয়া বাইবেল শাস্ত্রের মাহাত্ম্য প্রচার করিতে লাগিলেন { এবং সর্বশেষে জিজ্ঞাসা করিলেন “তােমরা কি খ্ৰীষ্টকে জানাে ? তাহাতে তাঙ্গর শ্রোতৃবর্গের একজন বিশেষ ঔৎসুক্যের সহিত উত্তর করিল, “আঞ্জে, তার নম্বরটা কত ?”-হায্য বিড়ম্বন । সে লোকটী মনে করিষাছিল বুঝি খৃষ্ট তাহাদিগেবই। ন্যান্য কোন কুলিমজুর হইবে। আর নম্বর জানিলেই তাহাকে চট করিযী। খুজিয়া পাওয়া যাইবে। এই বলিয়া স্বামিজী গভীর হইয়া বলিতে লাগিলেন “পাশ্চাত্যের লোকেরা এসিয়ার লোকের মত ধৰ্ম্মপ্ৰাণ নহে। সাধারণের মধ্যে ধৰ্ম্মের চিন্তাই নাই। একজন ভারতবাসী লণ্ডন বা নিউইয়র্কে গেলে প্ৰথমেই দেখে সেখানকার দুনীতিপরায়ণতা তাহার কল্পিত নরকের চেয়েও বেশী। এসিয়ার re