পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাইনিতালে । লোক যতই অধঃপতিত হউক, লণ্ডনের হাইডপার্কে দিন দুপুত্ৰ যে সব কাণ্ড ঘটে দেখলে তারও মনে ঘুণ হয়।” তিনি বলিতেন ‘পাশ্চাত্য দেশের নিম্নশ্রেণীর লোকেরা শুধু যে তাদের পূক্ষ্মশাস্ত্ৰ সম্বন্ধে অজ্ঞ তা নয়, এদিকেও খুব গোয়ার এবং অসভ্য। একদিন আমি আমার এই প্ৰাচ্য পোষাক প’রে লণ্ডনের এক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, এমন সময় এক কয়লার গাড়ীব গাড়োয়ান আমার পোষাকটা দেখে একটু বোধ হয় আমোদ বোধ কবুলে। তারপরেই তার হাতটা এমন সুড়সুড়ি কৰ্ত্তে লাগলো যে তৎক্ষণাৎ সে একটা কয়লার চাই আমার দিকে ছুড়ে মালে। ভাগ্যক্রমে সেটা আমার গায়ে না লেগে কাণের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল।” মাইনিতালে তঁাহার সহিত শ্ৰীযুত যোগেশচন্দ্ৰ দত্ত নামক এক ভদ্রলোকের সাক্ষাৎ হয় । ইনি পূর্বে মেট্রোপলিটান স্কুলে তাহার সহপাঠী ছিলেন। যোগেশ বাবু প্ৰস্তাব করিলেন, যদি কতকগুলা টাকা তুলিয়া এদেশের গ্র্যাজুযেটদের বিলাতে পাঠাইয়া সিভিল সাব্বিশ পড়াইয়া আনা যায়, তাহাতে কিরূপ ফল হয় ? তাহারা দেশে ফিরিয়া দেশের অনেক উপকার করিতে পারে কি না ? স্বামিজী উহাতে কোন উৎসাহ প্ৰকাশ না করিয়া বলিলেন “ওতে কিছুই হবে না তে। ওতে কেবল ছেলেগুলা সাহেবী ঢং শিখে আসবে। আর এদেশে এসে সাহেব ঘোষা হবে। এটা একেবারে ধ্রুবসত্য বলে জেনে রেখে দাও । তারা শুধু নিজেদের উন্নতির চেষ্টা খুজিবে আর সাহেবদের মত খাবে, পরবে ও চাল চালিবে ; দেশের কথা মনেও করবে না।” bን”‹ዕእ