পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`छभ७ ।। সাবা গ্ৰীষ্মকালটা তিনি মাঝে মাঝে প্রায়ই আমাদের নিকট সিমা অনেকক্ষণ ধরিষা ভারতের পৌরাণিক কাহিনী সকল Iণনা করিতেন, সে সকল কাহিনী আমাদের দেশের ছেলে ঢুলান গল্পেব মত নহে, বরং অনেকটা প্ৰাচীন গ্রীসের শৌর্যপঞ্চালী উপকথাৰ মত। ইহার মধ্যে শুকদেবের আখ্যানষ্ট আমার নিকট সর্বাপেক্ষ ভাল লাগিয়াছিল। সন্ধ্যার ধসর চাষাব্য আলমোড়াব দিগন্তপ্ৰসারী কৃষ্ণ শৈলমালার পরপায়ে শঙ্কবগিরির উপর চাহিয। চাহিয়া আমরা প্ৰথম এই গল্প শুনি। ; সে যে কি মধুর লাগিষাছিল। জননী জঠর হইতে নিৰ্গত হইলে জননীর মৃত্যু ঘটবে ইহা জানিতে চারিয আদর্শ পরমহংস মহাজ্ঞানী মহাত্মা শুক পঞ্চদশবর্ষ গর্ভবাসী ক্লেশ সহ্য করিতে লাগিলেন। তখন তঁাহার পিতা ব্যাসদেব জগজ্জননী উমার শরণাপন্ন হইয়া বলিলেন “মাগো তুষ্ট যদি ওর মাযাব আবরণ ছিন্ন কাৰ্বতে ক্ষান্ত না হ’স, তাহ’লে যে ও ভূমিষ্ঠই হবে না।” তখন মহামায এক মুহূৰ্ত্তের জন্য শুকদেবকে মায়ায় মুগ্ধ করিলেন-সেই শুভক্ষণে ভগবান শুকদেব ভূমিষ্ঠ হইলেন। যোড়শবর্ষের শিশু, পিতা মাতা কাহাকেও চিনিলেন না । জন্মগ্রহণমাত্র নগ্নদেহে বরাবর যে দিকে দুই চক্ষু মৃাইতে লাগিল সেই দিকেই চলিলেন । পিতা ব্যাসদেব পশ্চাতে । অবশেষে এক গিরিশঙ্কটের নিকট উপস্থিত হইয়া শুকের দেহ যেন বায়ুতে মিশিয়া গেলা-পাঞ্চভৌতিক দেহ পঞ্চ-- ভূতে লয় পাইল। পিতা ব্যাস ‘হা পুত্র, হা পুত্র’ রবে রোদন করিতে লাগিলেন-কিন্তু কোথাও কিছু নাই, শুধু সেই রব レr8>