পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলমোড়া । শ্ৰবণ করিয়াই ইহলোক হইতে প্ৰস্থান করেন। কেহ কেহ। শুধু দুর চাইতে দর্শন মাত্ৰ করিতে পান আর স্পর্শ করিবার সৌভাগ্য আরও কম লোকের হয়--কেবল একমাত্ৰ শুকাই ষ্ট সমুদ্রবারি পান করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন।” বাস্তবিক শুকদেবষ্ট স্বামিজীর চক্ষে সাধুত্বের আদর্শ বিগ্ৰহ ছিলেন । যে ব্ৰহ্মজ্ঞানে দৈহিক জীবন ও জগৎটা বালকের খেলার ন্যান্য তুচ্ছ বোধ হয় সেই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ যদি কাহারও হকীয়া থাকে। তবে শুকদেবই তাহার উপমাস্থল। বহুদিন পরে আমরা শুনিয়াছিলাম শ্ৰীরামকৃষ্ণদেব নাকি তঁহাকে “এই আমার শুক’ বলিয়া সম্বোধন করিতেন। আর যে গভীর আনন্দানুভূতি-জনিত দৃষ্টির সহিত তিনি ভাগবত ও শুকদেবের মাহাত্ম্য বৰ্ণনাকল্পে উক্ত “অহং বেঢ়ি, শুকে বেত্তি, ব্যাসো বেত্তি ন বেত্তি বা” এই শিববাক্য আবৃত্তি করিতেন তাহা আমি জীবনে কখনও ভুলিব না। আলমোড়ায় আর একদিন তিনি বঙ্গদেশে প্রাচীন হিন্দু রীতিনীতির উপর পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রথম তরঙ্গ সংঘাতে যে সকল মহাপ্ৰাণ ব্যক্তির আবির্ভাব হইয়াছিল তাহদের বিষয় বৰ্ণনা করিতে লাগিলেন । নাইনিতালে রাজা রামমোহন রাগ্নি সম্বন্ধে তিনি যাহা বলিয়াছিলেন, তাহা পূর্বেই উল্লিপিত হইয়াছে। এখন আবার পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগরের বিষয়ে বলিলেন “আমার সমবয়স্ক এমন একজন লোকও উত্তরভারতে নাই যাহার উপর ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগরের প্রভাব ব্যাপ্ত না হইয়াছে।” এই সকল মহাত্মা যে শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের জন্মস্থানের কয়েক ক্রোশের -8s