পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলমোড়া । জননী বালিকা বিধবাগণের দুঃখে বিগলিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিতেছেন-উহাদের বিবাহ প্ৰদান সম্বন্ধে শাস্ত্ৰে কোন বিধান আছে কিনা, আর বিদ্যাসাগর একমাস দ্বার বদ্ধ করিয়া ক্রমাগত শাস্ত্ৰ ঘাটিমা মাটিয়া অবশেষে আসিয়া বলিলেন, “না শাস্ত্র উহার বিরোধী নহেন’ এবং তারপর বড় বড় পণ্ডিতদিগের নিকট হইতে দী মতের স্বপক্ষে স্বাক্ষর গ্ৰহণ করিতে লাগিলেন। তারপর দেশীষ রাজাদিগেৰ চক্ৰান্তে উক্ত পণ্ডিতগণ ঐ মত প্ৰত্যাহার করিলে যখন তঁাহার উদেশ্য ব্যর্থ হইবার যোগাড়, হইল, তখন কেমন করিয়া, গবৰ্ণমেণ্টের সাহায্যে তিনি স্বীয় উদ্দেশ্য সাধিত করিলেন তাহা বৰ্ণনা করিয়া স্বামিজীী বলিতেন, তবে উহা যে তেমন ভাবে প্ৰচলিত হইল না, তাহার কারণ সামাজিক নহে, আর্থিক অসচ্ছলতা। যে ব্যক্তি কেবলমাত্র নৈতিক বলে সমাজ হইতে বহুবিবাহ দূর করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন তঁাতার যে আধ্যাত্মিক শক্তি কতখানি ছিল তাহা আমরা বেশ অনুমান করিতে পারি। আবার যখন শুনি, ১৮৬৪ সালের ভীষণ দুর্ভিক্ষে প্ৰায় দেড় লক্ষ নরনারীকে ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যুমুখে পতিত হইতে দেখিয়া এই মহাত্মাই বিষম আক্ষেপে বলিয়া উঠিয়াছিলেন “আর ভগবান মানিতে বাধা নাই, আজ হইতে আমি নাস্তিক’ তখন বাহিরের তুচ্ছ মতবাদের উপর ভারতীয়গণের যে কিরূপ অনাস্থা তাহা স্মরণ করিয়া আমরা বিস্ময়ে অভিভূত হই। বাঙ্গালাদেশে শিক্ষাবিস্তারের জন্য যে সকল মহাত্মা আত্মনিবেদন করিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে স্বামিজী উক্ত ব্যক্তির ክrfS¢