পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊभन्नांथ ७ चौब्रङदांन्ौ করুক। ইহার উপর যদি উহার অপরের উপর প্রভাব বিস্তার করিয়া তাহাদিগকে স্বমতে আনিবার সামৰ্থ্য থাকে তাহা হইলেই যথেষ্ট হইল। তৎপরে তিনি গভীর ভাবের সহিত, যাহারা খুব প্ৰাচীনপন্থী (orthodox) তাহদের অনেকের আসাধারণ ধৰ্ম্মভাব সম্বন্ধে বলিলেন। বলিলেন, ভারতের এখন চাই কৰ্ম্মতৎপরতা, কিন্তু তাই বলিয়া পুরাতন চিন্তাশীলতাকে একেবারে পরিত্যাগ করিলে চলিবে না। চাই উভয়ের সম্মিলন। উদাহরণ-স্বরূপ বলিলেন,-“শ্ৰীরামকৃষ্ণ পরমহংস তঁহার ভিতরের অস্তস্তম তত্ত্বগুলির পর্য্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর রাখিতেন ; তথাপি বাহিরে তিনি পুরাদস্তুর কৰ্ম্মতৎপর ও কৰ্ম্মপটু ছিলেন। শ্ৰীীরামকৃষ্ণদেবের মতে “সমুদ্রের ন্যায় গভীর এবং আকাশের ন্যায়। উদার হওয়াই” আদর্শ। ইহা ব্যতীত ঐতিহাসিক আলোচনা, স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধীয় কথাবাৰ্ত্তা, আবার তুরীয় অবস্থা প্ৰভৃতি দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের প্রসঙ্গও হইত। একদিন মধ্যাহ্বভোজনে শিষ্যদিগের ক্ষুদ্র ছাউনীটিতে আসিয়া দেখিলেন নিকটে একখানি টডের রাজস্থান পড়িয়া রহিয়াছে। উহা উঠাইয়া লইয়া বলিলেন—“বাঙ্গলার আধুনিক জাতীয় ভাবসমূহের দুই তৃতীয়াংশ এই বইখানি হইতে গৃহীত হইয়াছে।” তারপর মীরাবাই, প্ৰতাপসিংহ, কৃষ্ণকুমারী প্ৰভৃতির গল্প করিতে লাগিলেন। মীরাবাই সম্বন্ধে এই গল্পটী বলিতে তিনি বড় ভালবাসিতেন,-মীরাবাই বৃন্দাবনে পৌঁছিয়া শ্ৰীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রসিদ্ধ সন্ন্যাসী-শিষ্য-বাঙ্গলার নবাবের ভূতপূৰ্ব্ব উজীর ; সনাতন দাসকে নিমন্ত্রণ করেন। ክ“ዓ እ