পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে তঁাহাকে সরকার হইতে জানান হইল যে ঐ স্থান মঠ বা সংস্কৃত বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য দেওয়া হইবে না, কারণ রাজ-দরবারে ঐ প্রস্তাব উত্থাপিত হইবামাত্র রেসিডেণ্ট ট্যালবট সাহেব দুই দুইবার উহাতে অসম্মতি প্ৰকাশ করিয়াছেন ও শেষবারে উহা একেবারে নামঞ্জুর করিয়াছেন। সুতরাং উহার ভালমন্দ বিচার সম্বন্ধে আর কোন আলোচনা পৰ্য্যন্ত হইতে পারে নাই । স্বামিজী প্রথমতঃ এই সংবাদ পাইযা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হইলেন, কিন্তু পরে তাহার মনে হইল যখন সকলেই ইচ্ছাময়ীর ইচ্ছা, তখন যাহা হইযাছে তাহা ভালর জন্যই হইয়াছে। মোটের উপর বুঝিলেন কাশ্মীর বা অন্য কোন দেশীয় রাজার রাজ্যে কাৰ্য্যারম্ভ সুবিধাজনক হইবে না, বরং সকল দিক হইতে বিবেচনা করিলে বাঙ্গালাদেশ, বিশেষতঃ রাজধানী কলিকাতার সন্নিকটবৰ্ত্তী স্থানই তাহার কাৰ্য্যের কেন্দ্ৰস্থল হইবার সম্পূর্ণ উপযুক্ত। ২০শে সেপ্টেম্বর আমেরিকার কন্সাল জেনারেল ও তৎপত্নীর আমন্ত্রণে তিনি দুইদিন ডাল হ্রদের তটে রহিলেন । এই সময় হইতে র্তাহার মন শিবভাবের পরিবর্তে শক্তিভাবে পরিপূর্ণ হইয়া উঠে। তাহার মুখে সদা সব্বদা রামপ্রসাদী সঙ্গীত শুনা যাইত। যখন তিনি তঁাহার মুসলমান মাঝির চারি বৎসর বয়স্ক শিশুকন্যাকে উদ্যারূপে পূজা করিতেন তখন দর্শকদিগের হৃদয় ভাবে দ্রবীভূত হইত। একদিন তিনি শিষ্যদের বলিলেন “যে দিকে ফিরিতেছি। কেবল মার মূৰ্ত্তি দেখিতেছি। তিনি যেন আমাকে ছোট ছেলের মত হাত ধরিয়া লইয়া বেড়াইতেছেন।” brbrネ